বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার যশোরে বিমান বাহিনী একাডেমিতে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সামনে নির্বাচন, যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি, আরও পরিকল্পনা আছে বিমান বাহিনীর জন্য, সেগুলো করব।”
স্বাধীনতার পর থেকে বিমান বাহিনীর উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উদ্যোগের কথা এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। তবে আঘাত এলে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের থাকতে হবে।”
উপস্থিত বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সততা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নেবেন।”
বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের সামনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ব্রোঞ্জের ভাস্কর্য উন্মোচন করেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা।
১২টি ভবন ও অবকাঠামোর সমন্বয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সে একসঙ্গে ৬০০ ক্যাডেটের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
এই একাডেমিতে রয়েছে প্রশিক্ষণ উইং, ফ্লাইং প্রশিক্ষণ উইং, ক্যাডেটস প্রশিক্ষণ উইং, সাপোর্ট উইং, ব্যাংকোয়েট হল, সুইমিং পুল, জিমনেসিয়াম, মিলনায়তনসহ অন্যান্য সুবিধা।
আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে এখানে সুপারসনিক উইন্ডটানেল, অ্যারোডিনামিক্স ল্যাব, গ্যাস টারবাইন এবং পিস্টন ইঞ্জিন সমৃদ্ধ অ্যারোইঞ্জিন ল্যাব, সার্কিট ল্যাব, পাঠাগার, কম্পিউটার ও ল্যাংগুয়েজ ল্যাব রয়েছে।
এই একাডেমিতে আধুনিক মিলনায়তন ছাড়াও বিজ্ঞান ও কারিগরি প্রশিক্ষণের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানাগার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স উদ্বোধনের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হল। এই প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল বাংলাদেশের যথার্থতা প্রমাণ করে তথ্য-প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে।”
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, “জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ একাডেমি হবে, যেখানে সারা পৃথিবী থেকে প্রশিক্ষণার্থী আসবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমি আজ এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যা উন্নত দেশের যে কোনো বিমানবাহিনী একাডেমির সমকক্ষ।