মো.শফিকুল ইসলাম মতি নিউজ সময়:ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়েই চলছে। লাইনচ্যুত ও বিধ্বস্ত হওয়া বগির মধ্য থেকে এখনও ভেসে আসছে কান্নার আওয়াজ। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জনে। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক।
কর্মকর্তারা শনিবার বলেছেন, ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটি ভারতের সবচেয়ে মারাত্মক রেল দুর্ঘটনা। খবর এএফপির ভারতের ওডিশা রাজ্যে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার প্রতি ১০ লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন দেশটির রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো।
একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে রেল কর্তৃপক্ষ।শুক্রবার (২ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওডিশার বালাসোরের কাছে হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে একটি মালগাড়ির। ওই ভয়াবহ ঘটনায় শনিবার সকাল পর্যন্ত ২৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৯০০ জনের বেশি। ট্রেনের ভেতরে এখনো অনেকে আটকা পড়ে আছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এনডিটিভির।
দুর্ঘটনার পর রাত পৌনে ১০টার দিকে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এ ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি মর্মাহত। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর সঙ্গে তিনি গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, উদ্ধার কাজ চলছে। আহতদের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।ওডিশার ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সুধাংশু সারঙ্গি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা ২৩৩ টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব প্রদীপ জেনা জানিয়েছেন দুর্ঘটনাস্থল বালাসোরে অন্তত ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১০০জন অতিরিক্ত ডাক্তার সেখানে সেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
এটি ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। ওডিশা রাজ্যের বালাসোরে স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যে সাতটার দিকে মোট তিনটি ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
ভারতের রেলবিভাগ জানায়, প্রথমে করমন্ডল এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেন – যা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়ার নিকটবর্তী শালিমার থেকে তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাই যাচ্ছিল – সেটির কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং পাশের লাইনে থাকা আরেকটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী ট্রেন সেগুলোকে আঘাত করে। দ্বিতীয় ট্রেনটি বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। এরপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের সাথেও যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ধাক্কা লাগে। যার কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।