আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেমিকা ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতেও প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। হঠাৎই শুরু হয় কথা কাটাকাটি। রাগ করে ফোন রেখে দেয় প্রেমিক। বার বার ফোন করতে থাকে ওই স্কুলছাত্রী। কিন্তু ফোন তুলছে না কেউ। অজানা আশঙ্কায় ভুগতে থাকে কিশোরী। কিছুক্ষন পরেই প্রেমিকার ফোনটা বেজে ওঠে। এ বার ভিডিও কল।
ফোন তুলতেই চিৎকার করে ওঠে ওই কিশোরী প্রেমিকা। গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে দড়ির অন্য প্রান্ত বেঁধে দাড়িয়ে আছে প্রেমিক। ফোনে অনুনয় করতে থাকে প্রেমিকা। কোনো উপায় না দেখে প্রেমিকের বন্ধুদের পাগলের মতো ফোন করে পুরো ঘটনা জানায়। বন্ধুরা পুলিশকে নিয়ে দ্রুত পৌছায় কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে। ভাঙা হয় দরজা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। কিশোর প্রেমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, কয়েক মাস আগেই সোনারপুরের কামরাবাদ হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সুরজের আলাপ। সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা। রোজই বেশ কয়েক ঘণ্টা তারা ফোনে কথা বলত, ভিডিও চ্যাট করত।
তাঁর মায়ের অভিযোগ, ওই কিশোরী প্রেমিকার প্ররোচনাতেই আত্মহত্যা করেছে তাঁর ছেলে। তিনি সোনারপুর থানায় কিশোরীর বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছেন। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর এখনও কিশোরীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা।
এক তদন্তকারী বলেন, “আগের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা প্রেমিককে গ্রেফতার করেছিলাম কারণ সে সব কিছু দেখেও কাউকে জানায়নি। উল্টে নিজের ফোন বন্ধ করে রেখেছিল। এই ঘটনায় কিশোরীই সবাইকে সতর্ক করে, খবর দেয়।”