নিউজ সময় ডেস্ক: নরসিংদীর চরাঞ্চলে উৎপাদিত উস্তার (করলা জাতীয়) ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুবই খুশি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রফতানী হচ্ছে। আয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। উস্তা চাষিরা এখন উস্তা বাজারে বিক্রির পাশাপাশি রফতানী কারকদের কাছেও বিক্রি করছে।

নরসিংদীর সদর উপজেলার চর এলাকা আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগর, বাখরনগর চরের জমিতে অন্যান্য সবজির সাথে উস্তা চাষ করা হয়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে ঢলের পানির সাথে পলি এসে জমা হয় এ চরগুলোতে। ফলে এ উর্বর দো-আঁশ মাটিতে প্রচুর উস্তা ফলন হয়।

কৃষক ইদ্রিস মিয়া জানান, নরসিংদীর চর এলাকার উৎপাদিত উস্তার মান ভালো হওয়ায় দেশে ও বিদেশে এর চাহিদা বেশী। দেশে প্রতিকেজি উস্তা প্রকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ভালো মানের উস্তা রফতানীকারকরা কার্টন ভর্তি করে বিদেশে রফতানী করছে।

আবহাওয়া অনুকুল থাকায় উস্তা চাষে বীজ বপন থেকে শুরু করে ক্ষেত হতে উস্তা উঠানো পর্যন্ত কৃষককে কোন দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি। ফলে উস্তা ফলন এ মৌসুমে ভালো হয়েছে। অনেক কৃষক উস্তার দাম বাজারে ভালো পাওয়ায় জমিতেই উস্তা বিক্রি করে অন্য ফসল আবাদের চেষ্টা চালাচ্ছে। উস্তা প্রতি বিঘায় ৪০/৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বিঘা প্রতি জমিতে খরচ হয়েছে মাত্র ১৫/১৮ হাজার টাকা। উস্তা উৎপাদন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৮.১১ মেট্টিক টন।

নরসিংদীর হাট বাজারে বর্তমানে ১ মন উস্তা ২ হাজার থেকে ২২ শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর উস্তার দাম ও চাহিদা বেশী হওয়ায় কৃষকেরা খুবই খুশি। নরসিংদীর উস্তা চাহিদা রয়েছে দেশ ও বিদেশে।

নরসিংদী জেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ শোভন কুমার ধর জানান, এ বছর ৫’শ ৪০ হেক্টর জমিতে উস্তা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ৫’শ ৬৫ হেক্টর জমিতে উস্তা চাষ হয়েছে। উস্তা বাজারে আসার সাথে সাথে দাম বেশী থাকে তবে আস্তে আস্তে চাহিদা কমে আসলে দাম কমতে থাকে। শীত আসার পূর্ব থেকেই চর এলাকার কৃষকরা অধিক লাভের আশায় উস্তা চাষ শুরু করে। উস্তা এখনই বিক্রির উপযুক্ত সময়।

এখানে কমেন্ট করুন: