নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি নরসিংদী জেলা এডভোকেট ক্লার্ক সমিতিতে জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সদস্য পদ লাভ করেন সাইফুল ইসলাম রুদ্র নামে এক প্রতারক। সে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকার খোরদেশ আলমের পুত্র।
এডভোকেট ক্লার্ক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর সমিতিতে একটি আবেদন করেন এই প্রতারক। আবেদনের সাথে মরজাল কে এম বশির মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের এস. এস. সি এবং নরসিংদী সরকারী কলেজের একটি এইচ. এস. সি. পাশের সাটিফিকেট জমা দিয়ে ৪৫৮ নং সদস্য পদ লাভ করে।
পরে তার সনদপত্র নিয়ে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করলে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় জমা দেওয়া সাটিফিকেট ২ টি জাল। অতঃপর গত ৬ অক্টোবর নরসিংদী জেলা আইন জীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক তারেক মো: লুৎফর রহমান, এডভোকেট ক্লার্ক সমিতির সভাপতি ফজলুল হক ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সহ অন্যন্য আইনজীবীরা উপস্থিত হয়ে তাকে আইন জীবী সমিতিতে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে ৩ শত টাকার স্ট্যাম্পে মুচেলেকা রেখে তার সদস্য পদ বাতিল করেন।
এ সময় সে সকলের পা ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তাকে ছেড়ে দেয় কর্মকর্তারা।
তারা জানায়, সে একজন প্রতারক বিভিন্ন লোকদের কাছে ভুয়া ডিবি অফিসার সেজে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেয়। এর আগেও এমন অভিযোগে তাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময় তার কাছ থেকে স্বরাষ্ট মন্ত্রীর জাল সীল ও ৪১ টি জাতীয় পরিচয় পত্র উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। এই ব্যপারে রায়পুরা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয় যাহার নং ৩১(৮)১৮ ইং। উক্ত মামলাটি নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে।