নরসিংদীর মাধবদীতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর নয় দিন আটকে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে অপহরণকারী দলের মূল হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ৫ অক্টোবর ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার দেবাই গ্রামের সুজন, তার সহযোগী একই থানার সাতগ্রাম গ্রামের রুবেল, ময়মনসিংহ সদর থানার রহমতপুর গ্রামের ফয়সাল মিয়া, লালমনিরহাট সদরের চরকুলাঘাপ গ্রামের আছাদুল ইসলাম ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের শাকিল মোল্লা।

মাধবদী থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান ও নির্যাতনের শিকার কিশোরীর পরিবার জানান, ৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই কিশোরীকে মাধবদীর দরগাবাড়ি এলাকার সড়ক থেকে মাইক্রোবাসযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত অপহরণকারী চক্র। চার দিন পর ৯ অক্টোবর মেয়েটির বাবার মোবাইলে ফোন করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। অন্যথায় মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। মেয়েকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে গত ১২ অক্টোবর মামলা করেন মেয়েটির পিতা। মামলা করার পর মুক্তিপণ দাবি করা মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। পরে রুবেল নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্য মুক্তিপণের টাকা নিতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এসে পুলিশের হাতে আটক হয়।

পরে আটক রুবেলের তথ্য মতে সাভারের গোমাইল উত্তর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় অপহরণে সহায়তাকারী ফয়সাল, শাকিল ও আছাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে মূলহোতা সুজন পালিয়ে যায়। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্র্যাকিং করে নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া থেকে সুজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

এখানে কমেন্ট করুন: