নরসিংদীতে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাংবাদিক হৃদয় খান ও গ্লোবাল টেলিভিশনের সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) শহরের সাটিরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা আব্দুল বাছেদের ছেলে নুরে আলম নামের একজন বাদি হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দুই সাংবাদিক সম্পর্কে পিতাপুত্র। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান মামলা দায়ের করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম-বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর সহ স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ সহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেই সাথে অনতিবিলম্বে এ মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি হৃদয় খান বলেন, মামলার বাদী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন আমি আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি (redoy khan) থেকে স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম হিরু এবং এস এম কাইয়ুম এর নাম ব্যবহার করে মানহানীকর স্ট্যাটাস প্রদান করি। কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি থেকে এরকম কোন স্ট্যাটাস দেইনি। সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আলী হোসেন শিশির চেম্বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে পরিচালকদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভায় একটি বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্যের ভিডিওটি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।
ভিডিওটিতে চেম্বারের সভাপতি অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলার মুহূর্তে সময় স্বল্পতার জন্য সদরের মাননীয় এমপি’র নাম বলতে না পারায় তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এঘটনায় তিনি জেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা এসএম কাইয়ুমের সমন্বয়ে তাঁরই আশীর্বাদপুষ্ট কয়েকজন নামধারী শ্রমিক নেতাদের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অশ্লিল স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করে।’ এ মিছিলটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও ঈর্ষান্বিত এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নরসিংদী চেম্বার।
কনফারেন্স ও চেম্বারের প্রতিবাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে নিউজ সময়.কম, নরসিংদী প্রতিদিন.কম, ব্রেকিং নিউজ.কম.বিডি, সময়ের কণ্ঠস্বর, নরসিংদীর অপরাধ কণ্ঠ, নরসিংদীর ই-পত্রিকা সহ অন্যান্য গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে সাংবাদিক হৃদয় খান ও শফিকুল ইসলামের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদীত হয়ে হয়রানির করার জন্য আইসিটি আইনে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে দাবি করেন মামলার বিবাদি দুই সাংবাদিক।