স্টাফ রিপোর্টার: মাহে রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী নরসিংদীতে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষকে ইফতার (ভূনা খিচুরি, ডিম ভুনা, সবজি) বিতরণের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান কামরুল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেল ৫ টায় শহরের প্রধান প্রধান ১২ টি মোড়ে এসব খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে সারাদেশে চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় মেয়রের উদ্যোগে পৌর এলাকার ২০ হাজার পরিবারের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম চলমান অবস্থায় নতুন উদ্যোগ হিসেবে তৈরি খাবার (ইফতার) বিতরণকে যুক্ত করার কার্যক্রমকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে মনে করছেন অনেকেই।
নরসিংদী পৌরসভা কার্যালয় ও শহর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, করোনা সংকট মোকাবেলায় ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে নরসিংদী পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুল ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার মাস্ক, ২০ হাজার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ও সাবান বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় নরসিংদী জেলার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য ২ হাজার পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দিয়েছেন। পাশাপাশি গত ১ এপ্রিল থেকে পৌর এলাকার মধ্যবিত্ত্ব, নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন পেশার দুঃস্থ, অসহায় ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন। যা এখানো চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি মাহে রমজান উপলক্ষে মাসব্যাপী প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার ইফতারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে শহরের রেলস্টেশন, স্বাধীনতা চত্ত্বর, পায়রা চত্ত্বর, মুক্তি চত্ত্বর, শাপলা চত্ত্বর, শিক্ষা চত্ত্বর, হেমেন্দ্র সাহার মোড়, জেলখানা মোড়, ইউএমসি গেইট, উপজেলা মোড়সহ প্রায় ১২টি স্পটে ভাসমান, অসহায় ও দুঃস্থসহ রিকশাচালক, অটোচালকসহ বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর মানুষের মধ্যে এসব ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।
পৌর মেয়র মো. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, নরসিংদী হচ্ছে শিল্পসমৃদ্ধ জেলা। চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এখানকার শিল্পকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এখানকার বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবিরা। এরমধ্যে মধ্যবিত্ত্ব ও নিম্নবিত্ত্বের সংখ্যাই বেশি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় করোনা সংকট মোকাবেলায় নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষের মধ্যে ইফতার (ভূনা খিচুড়ি, ডিম ভূনা ও সবজি) সরবরাহ কার্যক্রমটি হাতে নিয়েছি। এটি যে কেউ ইফতার হিসেবে গ্রহন করতে পারবে অথবা কেউ রাতের খাবার হিসেবেও গ্রহন করতে পারবে। আল্লাহ চায় তো ইফতার বিতরণ কার্যক্রমটি পুরো রমজান মাসব্যাপী আমরা চালিয়ে যাব। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মেয়র আরো বলেন, এছাড়া গত ১৭ মার্চ থেকে পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড ওয়াশ ও সাবান বিতরণ করা হয়েছে। যা বর্তমানে চলামান রয়েছে। আশা করছি করোনা প্রাদুর্ভাব যতদিন থাকবে আমরা চেষ্টা করে যাব ততদিন তা অব্যাহত রাখতে।