টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিশ দলীয় ঐক্যজোট বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠার পর বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সময় পার করছে। দলটির নেতাকর্মীরা যখন দলীয় কার্যক্রম সামলাতেই যখন হিমশিম খাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে বাংলাদেশে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতি করোনাভারাস। বিএনপির করুণ দশার মধ্যে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা কেমন আছেন, করোনাকালে জনগনের পাশে কতটুকু দাঁড়াতে পেরেছেন এসব বিষয় উঠে এসেছে সময় নিউজের চোখে।
২৭ মে বুধবার নিউজ সময়কে ‘করোনায় রাজনীতি ও ছাত্রদলের ভূমিকা’ কেমন ছিলেন এ বিষয়ে জানান জেলা ছাত্রদলের সহ-প্রচার সম্পাদক ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মোঃ মাঈনউদ্দিন ভূইয়া তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি কিন্তু ১২-১৩ বছর ক্ষমতায় নাই। ক্ষমতায় না থাকা সত্বেও আমি ছাত্রদল করি আমার কোন ব্যবসা নেই। আমি আমার বাবার কাছ থেকে যতটুকু পারি নিয়ে আসি। পুরো টাকাটাই কিন্তু সংগঠনের পিছনে ব্যয় করি। আমার ছাত্রদলের কর্মী আছে তাঁরা কেউ চাঁদাবাজ না। সবাই বাবার পকেট থেকে এবং বন্ধদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রদল গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা মোতাবেক গত ৮ মার্চ থেকে করোনার মহামারি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছি। শুরু থেকেই প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্য বিতরণ ও বস্ত্র বিতরণ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এমনকি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা করোনায় মৃতদেহ দাফন-কাফনেও সহযোগীতা করে যাচ্ছে। এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। আবারো সুস্থ হয়ে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছে।’
নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান চৌধুরী ও জেলা ছাত্রদল নেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নরসিংদীর পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থায় আছে। নরসিংদী শহর ও পাশ্ববর্তী কয়েকটি উপশহর লকডাউন করা আছে। লকডাউনের মধ্যেও নরসিংদীর নেতাকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। সবাই সবার জায়গা থেকে করোনা মোকাবিলায় জেলা ছাত্রদল নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে সাধারন মানুষের পাশে থাকার।’
জেলা ছাত্রদল নেতা মোঃ মাসুম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সময় নিউজ কে জানায় নরসিংদী জেলা ছাত্রদল এর পক্ষ্য থেকে নরসিংদী জেলার প্রতিটি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ত্রান সামগ্রী-মাস্ক-হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও নগদ অর্থ প্রদান করে অসহায় মানুষের পাশে ছিলো ও থাকবে এবং প্রয়োজনে আমরা আরও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্য সামগ্রী পৌছিয়ে দিব।