স্টাফ রিপোটার:নরসিংদী পলাশ পাইকসা গ্রামে প্রায় ৩ শতাংশ নাল জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। রাস্তার পাশে পত্রিক জমির পিছনে শিল্পপতি নাজমুল হক এর জমি সেখানে নাজমুল হক টেক্টটাইল নামে একটি শিল্প কারখানা গড়ে তুলে তার গাড়ী যাতায়াতে অসুবিধা হওয়ায় বিদেশ প্রবাসি মো.আমজাদ হোসেনেকে জমি বিক্রির প্রস্তাব করে। এতে রাজি না হওয়ায় শিল্পপতি নাজমুল হক সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিদেশ প্রবাসির জমির দখল করে নেয় বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে গত ১৯ জুলাই সোমবার পলাশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিদেশ প্রবাসি আমজাদ হোসেন একটি লিখিত অভিযোগে বলেন, পাইকসা মৌজার আর এস ১১৫ দাগে ৩ শতাংশ জমিতে বাব দাদার আমল থেকে ভোগ দখলে ছিলাম, শিল্পপতির কাছে জমি বিক্রি না করায় বিভিন্ন গাছপালা সহ জমিটা দখল করে নেয়।
ফলে বিদেশ প্রবাসি আমজাদ হোসেন শিল্পপতির বিরুদ্ধে নরসিংদী যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে একটি খাস দখলের মামলা দায়ের করে যাহার নং ১৬৪/২০১৯ ইং বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন আছে। মামলা চলমান থাকা অবস্থায় পুরানো ২টি আম/কাঠাল ও ৭টি চারা গাছ কেটে নিয়ে যায় শিল্পপতি। এ ছাড়া শিল্পপতির দ্ধারা প্রভাবিত হয়ে বিদেশ প্রবাসির পাইকসা মৌজার ১৬৩১ (ষোলশত একত্রিশ অজুতাংশ)খারিজ কৃত জমি কোন নোটিশ না দিয়ে ভুল তথ্যের মাধ্যমে খারিজটি বাতিল করে দেয়।
এ ব্যাপারে বিদেশ প্রবাসি নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)আদালতে খারিজটি পুন: বহালের জন্য একটি আপীল মামলা দায়ের করেন যাহার নং ৩৬০/২০১৯ ইং মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। শিল্পপতি নাজমুল হক বিদেশ প্রবাসি আমজাদ হোসেনের জমি দখল,গাছ কাটা এবং ভুমি অফিস অন্যায় ভাবে খারিজ বাতিল করে হয়রানী করায় বিদেশ প্রবাসি উদ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে বিচারের দাবী জানিয়েছেন। স্থানীয় মোতালিব সহ এলাকাবাসী জানায় দখলবাজ শিল্পপতি নাজমুল হক অন্যায়ভাবে আমজাদের জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে।
সালিশ ছাড়াও মৌখিকভাবে তাকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু শিল্পপতি দখল ছাড়ছে না। অভিযুক্তর শিল্পপতি নাজমুল হক ক্যামেরার সামনে কথাবলতে রাজি হয় নি মোবাইলে জানান তিনি গাছ কাটেন নি মেইলের সামনে জমিটা সি এমবির জমিতে আমি ফুলের গাছ লাগাইছি আমি জুর করে জমি দখল করিনি। নোটিশ না দিয়ে অন্যায় ভাবে খারিজ বাতিলে বিষয়ে জানতে চাইলে প্রশাসনের কেউ কথাবলতে রাজি হয়নি। এ বিষয়ে উদ্ধতন কতৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।