স্টাফ রিপোটার:চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় ঠিকাদারি কাজের বিলের ফাইলে স্বাক্ষর না হওয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ের জিনিসপত্র ভাঙচুর ও হিসাবরক্ষককে মারধর করার অভিযোগে উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম ও তাঁর স্বামী মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে কর্ণফুলী থানায় উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. রফিক উল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. রফিক উল্লাহর কক্ষে গিয়ে উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম তাঁর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিসাম কনস্ট্রাকশনের জামানত ফেরতসংক্রান্ত ফাইলগুলোর অবস্থা জানতে চান। ওই সময় রফিক উল্লাহ উপজেলা প্রকৌশলী এখনো ফাইলে স্বাক্ষর করেননি জানালে চটে যান বানাজা বেগম। কিছুক্ষণ পর বানাজা তাঁর স্বামী মামুনসহ আরও সাত থেকে আটজনকে নিয়ে পুনরায় হিসাবরক্ষক রফিকের কক্ষে ঢুকে তাঁকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করেন।
এ সময় অফিসের জিনিসপত্রও ভাঙচুর করেন তাঁরা।এদিকে ঘটনার পর গতকাল বিকেলে উপজেলা পরিষদে এলজিইডির হিসাবরক্ষক মো. রফিকের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেন নারী ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগমের সমর্থকেরা। গতকাল বিকেল চারটায় শতাধিক নারীর অংশগ্রহণে উপজেলা পরিষদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁর স্বামীসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বানাজা বেগম বলেন, ‘তিনি (মো. রফিক) আমার ফাইলে স্বাক্ষর করার আগে ঘুষ দাবি করেছেন। আমি সে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিলকে তাল করে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছেন। আমি প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রামের উপপরিচালকের কাছে অভিযোগ করেছি।