মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী:
নীরব জনসেবা নরসিংদীর বেলাব উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও ঠিকাদার একসময় অজপাড়ার গ্রায়ের সন্তান খন্দকার আফতাব উদ্দিন। শূন্যহাতে ছোট সময় ঢাকাতে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও ঠিকাদারী শুরু করেন তিনি। এরপর থেকেই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার।

গরিব দু:খি মানুষের সেবায় ঝাপিয়ে পরেন তিনি।এখন উনার বয়স প্রায় ৯০ বছর জীবনের শেষ সময়ে উনার একটাই ইচ্ছা নিজ জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ঘোষনা দেন তিনি। এছাড়াও নিজ বাড়ীতে গড়ে তুলেছেন মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিমখানা। সাম্প্রতিক কোভিড-১৯ এ বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের দুর্দশা লাঘবে তার গৃহীত পদক্ষেপ ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে শুরু থেকেই তিনি সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তবে তার এই মহৎ সেবার ব্যতিক্রমী দিকটি হলো তিনি এসবই করছেন নীরবে-নিভৃতে। এলাকার মানুষ বলছে, দিন কিংবা রাত যখনই সময় পাচ্ছেন খন্দকার আফতাব উদ্দিন খোঁজ নিচ্ছেন গরিব-দুঃখী-মেহনতি মানুষের। এতে করে অসংখ্য অসহায় মানুষের মুখে কষ্ট লাঘব হচ্ছে। পরিবার নিয়ে খেয়েপুরে বেঁচে থাকতে পারছেন তারা। এলাকাবাসী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে তিনি যেভাবে দাঁড়িয়েছেন- তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি নিজে একা একা বাড়ি বাড়ি ঘুরে অসহায় মানুষের খোঁজ নিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন তারা খেতে পারছেন কিনা? তাদের বাড়িতে খাবার রয়েছে কিনা।

তিনি বলেন, অনেকের বাড়িতে হয়তো সামান্য চাল ছিল; কিন্তু টাকার অভাবে আনুষঙ্গিক তেল-নুন কিনতে পারছিলেন না, খন্দকার আফতাব উদ্দিন তাদের নগদ টাকা দিয়েও সহায়তা করেছেন। কারো আর্থিক সমস্যা, কারো মেয়ের বিয়ে খরচ, কারো ছেলের পড়ার খরচ, কারো ঘরে খাবার নেই; যখনই জানতে পেরেছেন- সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নীরবে করে যাচ্ছেন মানবসেবা।উনাকে পাশে পেয়ে এলাকার গরিব মানুষগুলো যেনো নিরাশার মাঝে আশার আলো খুঁজে পেয়েছে। বিশেষ করে আকস্মিকভাবে কর্মহীন হওয়া মানুষগুলোর যখন একটু ত্রাণের আশায় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ হয়ে ফিরছিল- তখন তাদের ভরসারস্থল হয়ে উঠেছিলেন তিনি। নীরব পরোপকারী আর প্রচারবিমুখ ব্যক্তি তিনি।

একজন প্রশস্ত হৃদয়ের পুরুষ। তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী পুরোদস্তর একজন বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। অসহায় দরিদ্র মানুষের প্রতি দরদবোধ ও ত্যাগ তার জীবনের এক বড় দিক।কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে অসহায় মানুষের প্রতি তার এই কর্মকান্ডের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খন্দকার আফতাব উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা স্বচক্ষে দেখে নিজেকে অসহায় মানুসের জন্য নিবেদিন করে রেখেছি। দীর্ঘদিনই তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।তিনি বলেন, এই মহামারিতে মানুষ সাময়িক সময়ের জন্য অভাব অনটনে পড়েছে।

তাই বিনীত অনুরোধ করছি- জনপ্রতিনিধিদের কাছে তারা যেনো সরকারি ত্রাণসামগ্রী নিয়ে নয়-ছয় না করেন। দয়া করে অসহায় মানুষকে ত্রাণ দেয়ার ছবি তুলে ফেসবুকে ছাড়বেন না। গরিব হলেও তাদের সম্মান রয়েছে। তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে ফেসবুকে ছবি দিয়ে সম্মানহানি করবেন না।

তিনি বলেন, ধর্মের নির্দেশ হচ্ছে মানুষকে ডান হাত দিয়ে কিছু দিলে বাম হাত যেনো না জানে। আমি সেভাবেই তাদের সহযোগিতার চেষ্টা করেছি। জীবনের শেষ ইচ্ছা গ্রামের মানুষের সেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করতে চাই ও জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গ্রামে থেকে হত দরিদ্র মানুষের কল্যানে কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এখানে কমেন্ট করুন: