ঢাকার ধামরাইয়ে ৭ বছরের শিশু পূর্ণিমা আক্তারকে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন পুলিশ। শুক্রবার বিকালে ধামরাই থানা কম্পাউন্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বর্ণনা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দানকালে ঢাকা জেলা উত্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২৫ জুন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের রৌহা গ্রামের মো. সামসুল ইসলামের মেয়ে ও রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী শিশু পূর্ণিমা আক্তার ফুলতলা বাজারের মো. দেলোয়ার হোসেনের দোকান থেকে ডাল এবং ডিম আনতে যায়।
বাড়ি ফেরার পথে তার পিছু নেয় একই গ্রামের রমজান আলী গেদু মেম্বারের বখাটে ছেলে সোহান খান, বিরেন হোটেলের কর্মচারি মরণসহ ৪জন বখাটে।
পরে তাকে তুলে নিয়ে রৌহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের একটি বাঁশঝাড়ের ভেতরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ঘাড় মটকে এবং শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর তার গলার চেইন ও নাকফুল নিয়ে বিরেনের দোকানের মিষ্টির আলমিরার উপরে লুকিয়ে রাখে।
বৃহস্পতিবার মরণকে গ্রেফতারের পর সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ৪জনকে জড়িয়ে বক্তব্য প্রদান করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমরা পূর্ণিমাকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব না। তবে ওই বখাটেদের বিচারকের কাঠড়ায় দাঁড় করাতে পারব।