মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নিউজ সময়:
নরসিংদী মনোহরদী উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের ৮ জন সদস্য (মেম্বার)। চেয়ারম্যানের প্রতি তারা অনাস্থা প্রকাশ করেছেন।
ফলে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আজ স্থানীয় বিরগাঁও বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে সদস্যগন অভিযোগ করে বলেন ইউনিয়নের সদস্যদের কাজ না দিয়ে চেয়ারম্যানের ভাইদের দিয়ে কাজ করানো, মারপিটের ভয়দেখিয়ে সদস্যদের সম্মান নষ্ট করে দীর্ঘদিন যাবৎ চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ মাসিক সভাসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সভা না করেই সভার ভুয়া রেজুলেশন প্রদর্শন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে না জানিয়ে কাগজে-কলমে উন্নয়ন কাজ দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ কোনো কাজ না করেই একই কায়দায় তিনি আত্মসাৎ করে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ত্রাণ সামগ্রী নিজের লোকজনকে দিয়েছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাৎ করেছেন। তিনি বিধি-বহির্ভূতভাবে এলজি এসপি ও হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি ( কর্মসৃজন) প্রকল্প দিয়ে কাজ না করেই বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ ইউনিয়নের নাগরিক, ওয়ারিশ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ দিতেও অবৈধভাবে নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ বিভিন্ন কায়দায় অনিয়ম-দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন।
নানা ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা সম্মিলিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছি।এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দ তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন।মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাশেম চেয়ারম্যান এমদাদুল হক আকন্দের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রাপ্তির কথা নিশ্চিত করেছেন।