মো. হৃদয় খান: প্রায় বছর খানিক আগে একটি দোকানে পরিচয় ও ফোন নাম্বার আদান-প্রদানের মাধ্যমে নরসিংদীর মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম সানির সাথে সুন্দরী তরুনী সুবর্ণা নাহার সাথীর পরিচয় হয়। এরপর মোবাইলেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা গত ২৫ আগস্ট ২০১৮ইং তারিখে ১০ লাখ টাকা কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে করে।
সম্প্রতি স্ত্রী সুবর্ণা নাহার সাথী তার স্বামী ও ভাসুরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি গণধর্ষণ মামলা করে। অন্যদিকে ওই কলেজছাত্রের পরিবারের অভিযোগ সাথী প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে অভিনব কৌশলে সানিকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে।
মামলার বাদী সুবর্ণা নাহার সাথী জানায়, বিয়ের পর থেকেই সানী ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপর নির্যাতন করে আসছিলো। একপর্যায়ে সানি ও তার ভাইসহ ৪ জন মিলে আমাকে আটকে রেখে গণধর্ষণ ও শারীরিক নির্যতন চালায়। এ বিষয়ে আমি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান সাথী।
সানির মা সেলিনা হক জানায়, ছেলে প্রেম করে বিয়ে করেছে, তার বাবা মেনে নিয়েই বাড়িতে জায়গা দিয়েছিল। কিন্তু সাথী যে বিয়ের নামে প্রতারণা করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় তা আগে জানা ছিল না। এ মেয়ে নাকি ঢাকার বিভিন্ন সন্ত্রাসী চক্রের সাথে জড়িতও রয়েছে। সানিকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে সে অনেক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে তাদের কাছ থেকে। সাথী মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে তার ছেলেকে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আবু তাহের দেওয়ান জানান, সুর্বণা নাহার সাথী নিজেই বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে সানীর পরিবারের বিরুদ্ধে। একটিতে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ও অপরটিতে তাকে গণধর্ষণ করা হয়। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে তার স্বামী সানি ও ভাসুরসহ চার জন জোরপূর্বক তাঁকে গণধর্ষণ করে। মামলাটি থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।