রাতের আঁধারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক সংস্কার করা হয়েছে বলে অভিযোগ হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বলা হয়েচ্ছ, ৩১ লাখ টাকার কাজ ৩১ ঘণ্টাও স্থায়ী হয়নি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ এলাকাবাসী। সড়ক মেরামতের কাজে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, সিডিউল অনুযায়ী কোনও কাজ হয়নি ওই সড়কে। নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন, কাজ শেষ করা না হলে বিল দেওয়া হবে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে।

হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক মেরামতের জন্য গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দরপত্র আহ্বান করে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ।  প্রক্রিয়া শেষে ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোহাম্মদ ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স ৩১ লাখ টাকা ওই কাজটি পায়। নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল।  কিন্তু নির্বাচনের অজুহাতে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। ১৮ জানুয়ারি রাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাতের আঁধারে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ শুরু করে। এলাকার লোকজন ঘুম থেকে উঠে কাজ করার কোনও চিহ্ন দেখতে পায়নি।

টেন্ডারে সংস্কার কাজে সড়কে ১২ মিলিমিটার ঘনত্ব করার কথা থাকলেও হয়েছে ২-৩ মিলিমিটার। আর ১৮-২২ ফুট করে প্রশস্থ করার কথা থাকলেও করা হয়েছে ৮-১০ ফুট করে। নিম্নমানের কাজ দেখে হতাশ স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহসিন আহমেদ বলেন, ‘রাত ১২টায় কাজ শুরু করে ভোর হওয়ার আগেই কাজ শেষ। আবার সন্ধ্যা হওয়ার আগেই উধাও হয়ে যায় মেরামতের সব চিহ্ন। এরকম সড়ক মেরামতের কাজ আমার জীবনেও আমি দেখিনি।’

জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘রাতের আঁধারে এত নিম্নমানের কাজ আমাদের বোকা বানানো ছাড়া আর কিছু নয়। ৩১ লাখ টাকার কাজ ৩১ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই উধাও। নেই মেরামতের চিহ্ন মাত্র।’

শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জ্যোতিষ গোস্বামী অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি যে অনিয়ম করেছে তার প্রমাণ স্পষ্ট। অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সড়কটি পুনরায় মেরামত করা হবে।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *