বরিশালে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এক নারীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে উচ্চপদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন কৌশলে ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- আয়েশা আক্তার, সুমন সরদার, মুন্না চৌধুরী, মো. মনির হাওলাদার, তানভির খান ও জুলহাস সরদার। এছাড়া পলাতক রয়েছে দুই প্রতারক সুমি আক্তার ও রেজাউল ইসলাম।

বুধবার দুপুরে বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মোশারফ হোসেন।

তিনি বলেন, প্রতারক আয়েশা আক্তার বাসায় কাজের মেয়ে দেয়ার কথা বলে নগরীর রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা ও একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরিরত তারেক খানকে রোববার আমানতগঞ্জ এলাকায় হাসিনা মঞ্জিলের চারতলার ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে যায়।

ওই ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর দরজা আটকে দেয় আয়েশা। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করেছিল সুমি আক্তার। তারেক খান ফ্ল্যাটে ঢোকার পর পর তাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করতে থাকে আয়েশা ও সুমি আক্তার। একপর্যায়ে তারেক খানের জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করে তারা। কিছুক্ষণ পরই বাইর থেকে কড়া নাড়লে দরজা খুলে দেয় দুই নারী।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, এরপর ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে সুমন, মুন্না, মনির ও রেজাউলসহ কয়েকজন তারেক খানকে মারধরের পর নগ্ন করে সুমির সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে মোবাইলে ধারণ করে। ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারেকের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।

পরে তারেক এক বন্ধুর মাধ্যমে বিকাশে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ ও বাকি টাকা পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে সেখান থেকে মুক্ত হন। এ ঘটনা মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান তারেক। একইসঙ্গে এ ঘটনায় মামলা করেন তিনি।

এরপর অভিযান চালিয়ে ছয় প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরেুদ্ধে মানব পাচার ও পর্নোগ্রাফি তৈরি আইনে মামলা করেছেন তারেক খান।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *