নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ভন্ড কবিরাজ চিকিৎসার নাম করে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভন্ড কবিরাজের বাড়ীতে উত্তেজিত এলাকাবাসী হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। এমন অবস্থায় এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে ভন্ড কবিরাজ । ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের কেয়ারিয়া এলাকায় ভন্ড কবিরাজ লাল চান বাবুর নিজ বাড়িতে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মিরপুর-১১, পল্লবী থানার ৭ নম্বর সেক্টর এলাকার মৃত আঃ জব্বরের মেয়ে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কবিরাজ দেখানোর জন্য রূপগঞ্জ ইউনিয়নের কেয়ারিয়া এলাকায় যান। সেখানে কবিরাজ লাল চান বাবুর কাছে আসলে কবিরাজ ওই তরুণীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করতে ৪০হাজার টাকা দাবি করে।
এ সময় তরুণীর আত্নীয়স্বজন ২০হাজার টাকা দিতে রাজি হয়। ভন্ড এ কবিরাজ তাতেই রাজি হয়ে টাকা নিয়ে নেয়। সে ভুক্তভোগীদের জানায় রাত ১০টার আগে আসর বসবে না বলে। এসময় তুরণীর ভাই রিপন, রুনা ও তাকে রেখে চলে যায়। তাদের চলে যাওয়ায় সুযোগ বুঝেই ভন্ড কবিরাজ লাল চান বাবু বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেরদৌসিকে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যেতে বলে। চিকিৎসার সময় কাউকে রাখা যাবেনা এমন কথাতে তাকে ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীর নিকটাত্নীয় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে বেলা পোনে বারোটার দিকে দরজায় ধাক্কা দিয়ে তরুণীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে ভন্ড কবিরাজ লাল চানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন যাবত কেয়ারিয়া এলাকার কবিরাজের সহকারী মরন চান-এর সহযোগিতায় ভন্ড কবিরাজ লাল চান বাবুর (৫২) কাছে হয়তো অনেকেই চিকিৎসার নামে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। আজ ধরা পড়ায় তার অপকর্মের চিত্র বেরিয়ে এসেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় তরুণীর ভাই বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই ভন্ড কবিরাজ লাল চান বাবু পলাতক রয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হক বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি, ইতিমধ্যে এদের ধরার জন্য একটি টিমও পাঠিয়েছি। তারা পালিয়েছে শুনেছি, তবে তাদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *