নরসিংদীতে পুলিশের উপর ছাত্রলীগের হামলা, ক্যাম্প ইনচার্জসহ ৫ জন আহত হয়। পরে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে নরসিংদী আদালতে প্রেরন করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মাইন উদ্দিন কাদির তাদের রিমান্ড এর আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে প্রেরন করেন ।

মামলার বিবরনে জানাজায় দায়িত্ব পালনের সময়ে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। এ সময় পুলিশ সদস্যদের বেধড়ক মারপিট ও পুলিশের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলা হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এসময় চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জসহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাজনসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরন করেছে।

গ্রেপ্তারের পর ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমরাব তাদের রিমান্ড বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাজন (৩২), লাল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৫),আবু সাইদ ভূইয়ার ছেলে শফিকুল ভূইয়া (২৪), মোবারক মোল্লার ছেলে জাহির (১৯), কাজল মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (২০) ও রাজন (২৭)। তারা সকলেই চরসিন্দুর ইউনিয়ের বাসিন্দা। পলাশ থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধায় গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ হইতে ছাত্রলীগের কয়েকজন পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর নতুন ব্রিজে ঘুরতে আসেন।

ওই সময় তারা ব্রিজের এক পাশে বসে তাস খেলছিলেন। এ সময় হৃদয় নামে স্থানীয় এক যুবক তাদের তাস খেলতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে কালিগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা ছাত্রলীগ সদস্যরা বিষয়টি পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজনকে জানান। এরই জেরে পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতির লোকজন হৃদয়কে মারপিট করতে থাকে। পুলিশ জানায় খবর পেয়ে চরসিন্দুর ক্যাম্পের আইসি-সহ পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।

এবং উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানায়। স্থানীয় এক সাংবাদিক মনার উসকানিতে তারা পুলিশের কথা অমান্য করে দুইপক্ষে সংঘর্ষে জাড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এসময় পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ রাজনের উপর লাঠির আঘাত লাগে। এতে ছাত্রলীগ নেতার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে স্থানীয় সাংবাদিক মনা ও ছাত্রলীগ নেতা ও তাদের সমর্থকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা পুলিশকে মারপিট করেন। একই সাথে পুলিশের গায়ে থাকা ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় আহত হয় চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই প্রদিপ কুমার দাশ, কনন্সটেবল জাহিদ, নাদিম, গাইয়ুম ও নায়েক আলামিন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদিপ কুমার দাশ বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে পলাশ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ পলাশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। চরসিন্দুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ প্রদিপ কুমার দাশ বলেন, চরসিন্দুর ব্রিজ এলাকায় দুই পক্ষের মারপিট হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যাই। দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানাই। এরই মধ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অতর্কিত পুলিশের উপর হামলা চালায়। এবং পুলিশের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় তাদের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

এখানে কমেন্ট করুন: