চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের বনজামিরা ও শরইতলা নামক দুই গ্রাম বিলীন হয়ে গেছে।
এ বিষয়টির সত্যতা জানিয়েছেন এলাকার চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান।
জানা যায়, ১৯৯১ সালের ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় ম্যারি এন এর পর থেকে মূলত এ ইউনিয়নে কোন টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরী না হওয়ায় ক্রমাগত সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে দুটি মহল্লা বিলীন হয়ে গেছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে এসব এলাকার লোকজন।

অনেকে মত প্রকাশ করেছেন, দিন দিন জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব ও প্রতিদিনের জোয়ার ভাটার থাবায় বিছিন্ন হতে পারে ধলঘাটা অনেকাংশ। এ অবস্থায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় লোকজন। নাহয় অল্প দিনের মধ্যে ধলঘাটা ইউনিয়নের উত্তর সুতরিয়া ৫ নং ওয়ার্ড এবং বাজার রক্ষাবাধ ভেঙে গিয়ে দক্ষিণ সুতরিয়ার ৭নং ওয়ার্ড বিলুপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এছাড়াও ঝুঁকিতে রয়েছে পুরাই ধলঘাটা ইউনিয়নটি।
তথ্যমতে, মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা-মাতারবাড়ী কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ধলঘাটা অর্থনৈতিক জোন সহ গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের মতো মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দ্বীপ ধলঘাটার চারদিকে টেকসই একটি বেড়িবাঁধ নির্মান হবে এমনটি স্বপ্ন দেখেছিলেন ধলঘাটাবাসী ।

মেঘা প্রকল্প গুলো শুধুমাত্র অধিগ্রহণকৃত জমি এবং প্রকল্পের নিরাপত্তার জন্য যে টুকু নিরাপত্তা বেষ্টনী দরকার সেইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে কথা উঠলে কপালে ভাঁজ পড়ে অনেকের। কেননা এর বাইরে ধলঘাটার বেড়িবাঁধ বা সড়ক নির্মাণের কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা বলেও এলাকাবাসীর মৃদু অভিযোগ তোলেছে। ফলে সৃষ্টি থেকে ধলঘাটা ইউনিয়ন যেমন ছিল বেড়িবাঁধহীন। অদুর ভবিষ্যতে ও কি আবারো ওরকম রয়ে যাচ্ছে!

এ প্রসঙ্গে ধলঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ‘ধলঘাটার চারদিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিকের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু কতৃপক্ষ টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হওয়ার কথা বলে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এ পরিস্থিতিতে অযতœ অবহেলায় যেন ধলঘাটা বিলুপ্ত না হয় সে প্রত্যাশা করেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি।’

এখানে কমেন্ট করুন: