নরসিংদীতে কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ ফুলনের পিতা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ রায়পুরা থেকে কথিত প্রেমিক সজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে ৯টায় নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লায় ফুললের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয় দৃবৃত্তরা। ফুলন নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরপরই ভিকটিমের পরিবারকে আইনি সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সহায়তায় দগ্ধ কলেজ ছাত্রীকে ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। একজন আটক আছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়াও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্ত করছে। পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ ও দগ্ধ কলেজ ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তার মামা সাথে দোকানে কেক আনতে যায়। মামা কেক কিনে দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ফুলন কেক নিয়ে বাড়ীর আঙ্গিনায় পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা দুইজন দুর্বৃত্ত তার হাত মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন (বিপিএম) ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দুজ্জামান সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ফুলনের পিতা যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামী করে শুক্রবার রাতে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।