স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী শিবপুরে এক যুবকের চায়ের বিক্রেতাকে ইয়াবা দিয়ে আটক করার চেষ্টার সময় গণরোষের শিকার হয়েছেন শিবপুর থানার এএসআই কাজি শাহিন ও এএস আই কাঞ্চন মিয়া। শুক্রবার সন্ধায় শিবপুর বাজনাব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ষড়যন্ত্রের শিকার চা বিক্রেতা শাহ আলম জানায়, সন্ধার দিকে চা বিক্রি করছিলেন, তখন পুলিশের সোর্স সুজন দোকানে একটি সিগারেটের প্যাকেট রেখে চলে যায়। পরে সেখানে উৎ পেতে থাকা এএসআই কাজি শাহিন ও এএস আই কাঞ্চন দোকানে প্রবেশ করে শাহ আলমকে সিগারেটেরে প্যাকেট উঠাতে বলে। শাহ আলম প্যাকেটটি না উঠালে পুলিশ অফিসার নিজেই উঠিয়ে ৩ টি ইয়াবা থাকার কথা জানালে জবাবে শাহ আলম বলেন এই ইয়াবাতো আপনাদের সোর্স রেখে গেছে। এসময় এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের কথা কাটকাটি হয়। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কেটে পড়েন। কিছুক্ষন পরে শাহ আলম এলাকাবাসির সহায়তায় সোর্স সুজনকে ধরে এনে জিজ্ঞেসাবাদ করলে সুজন শিকার করে যে শিবপুর মডেল থানার এ এস আই কাঞ্চন মিয়া ও কাজি শাহিন সিগারেটের প্যাকেটে ৩ টি বড়ি দিয়ে দোকানের ক্যাশের ভিতর রাখতে বলে।
শিবপুর পৌর যুবলীগীর সাধানর সম্পাদক বিল্লাল হোসেন শেখ জানায়, এলাকাবাসি সোর্স সুজনকে আটক করে শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ আবুল কালাম আজাদকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে ওসি (তদন্ত) মমিনুল হক ঘনাস্থলে যান। ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদেরকে উপস্তিত করতে বলে। এক পর্যায়ে জনতা উত্তেজিত হলে স্থানিয় মাতাব্বরদের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরদিন ২৮ জুলাই বিচারের আশ্বাস দিয়ে আটক কৃত সোর্সকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এই সময় সকলেই পুলিশের এই কর্মকান্ডকে ধিক্কার জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ওসি তদন্ত মমিনুল হক জানান, সোর্স সুজনকে ইয়াবাসহ ইটাখলা থেকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি আবুল কালাম আজাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করেলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এবিষয়ে আমার জানা নেই।