স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগঞ্জে এলাকায় স্ত্রীকে উঠিয়ে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ২ পক্ষের সংঘর্ষে শফিকুল ইসলাম (২৫) নামে এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকালে রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লা বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল ইসলাম (২৫) শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। সে নরসিংদীর ইনডেক্স প্লাজায় মোবাইল সাভিসিং এর ব্যবসা করতো।
প্রতক্ষ্যদশীরা জানায়, নিহত শফিকুল ইসলামের সাথে শহীদ আসাদ কলেজের এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী রহিমার কাবিন হয়। এর জের ধরে গত সপ্তাহে স্ত্রী রহিমাকে উঠিয়ে নিতে আসলে শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় তারা মেয়েকে উঠিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে নিহত শফিকুল ইসলাম পুনরায় লোকজন নিয়ে তার শশুড়বাড়িতে স্ত্রীকে উঠিয়ে আনতে যায়। ওই সময় মেয়ের বাড়ীর লোকজন মেয়েকে দিতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপযায়ে মেয়েকে জোড়পূর্বক উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন ওসিকে বারবার কল দিলেও ওসি ফোন রিসিভ করেনি। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে শশুড়বাড়ির লোকজন শফিকুলকে ধরে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর রায়পুরা থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
তবে নিহত শফিকুল ইসলামের কথিত স্ত্রী রহিমা আক্তার দাবী করেন, নিহত শফিকুল ইসলাম কলেজ থেকে টিসি তুলে দেওয়ার কথা বলে একটি কাগজে সই নেয়। পরে তা এফিডেফিড করে বিয়ে সম্পাদন করে। এরপর থেকে সে নিয়মিত তাকে ব্ল্যাকমেইল করতো। তার কাছে ৫ লক্ষ টাকাও দাবী করেন বলে জানায় রহিমা। সবশেষ বুধবার দুপুরে সে লোকজন নিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিতে আসে। এরমধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। তবে কিভাবে মারা গেছে জানতে চাইলে তার কোন উত্তর দিতে পারেন নি তিনি।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি রায়পুরা থানার ওসি।