নিউজ সময় ডেস্ক: নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী থানার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমানে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। ছাত্রনেতা থেকে জননেতা ভূষিত তারুণ্যের অহংকার মাহবুবুল হাসানের সুদক্ষ নেতৃত্বে অবহেলিত জনপদ মেহেরপাড়া ইউনিয়ন উন্নয়নের মহাসড়কে পৌছেছে।
জানা যায়, মেহেরপাড়ার ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মাহবুবুল হাসান জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ভগিরথপুর চেয়ারম্যান মার্কেট জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম। তার চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ মেহের আলী এই ইউনিয়নের ২ বারের নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান ছিলেন। মাহবুবুল হাসান ছাত্রজীবনেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। প্রথমে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, এরপর মেহেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামালীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তারপরই কর্মী বান্ধব নেতা জননেতায় পরিণত হয়। দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে কাউন্সিলরদের ভোটে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন পান। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পলাশের নির্বাচিত এমপি আলহাজ্ব আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, সাবেক এমপি আলহাজ¦ কামরুল আশরাফ খান পোটন এর সহযোগীতায় অবহেলিত জনপদ মেহেরপাড়া ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, রেল, সোলার বাতি, সহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যা নরসিংদী সকল উপজেলার মধ্যে মেহেরপাড়া ইউনিয়ন একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হয়। মাদরাসায় শহিদ মিনার নির্মান করেন মেহেরপাড়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় নির্মান করেন। ইউনিয়নে কমপ্লেক্সে সৌন্দর্য বর্ধন করেন। পাশাপাশি মেহেরপাড়ায় চুরি ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি বন্ধ করেন। এলাকায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেন। মেহেরপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের ৯টি ওয়ার্ড ও সকল সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করে মেহেরপাড়া ইউনিয়নকে আওয়ামীলীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে রূপান্তরিত করে। থানা ও জেলা আওয়ামীলীগের সকল প্রোগ্রাম ও রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রামে ব্যাপক সংখ্যক কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রোগ্রামকে সফল করেন। এলাকায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বিএনপি জামায়াতের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন মোকাবেলা করে নরসিংদীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সম্প্রতি চেয়ারম্যানের সাফল্য দেখে একটি কুচক্রী মহল এই কর্মবীরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মেহেরপাড়া ই্উনিয়নের সাধারণ জনগণ অপপ্রচারকারীর বিরুদ্ধে ধিক্কার দিচ্ছে। সর্বস্তরের জনগণ অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাচ্ছে।
আরো জানা যায়, মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়ন একটি শান্তিপ্রিয় এলাকা। এই এলাকার ৯০ ভাগ লোক ব্যবসায়ী। মাহবুবুল হাসানের পরিবার একটি ব্যবসায়ী পরিবার। এই পরিবারের উপর এলাকাবাসীর বিপুল আস্থা ও ভরসা রয়েছে। কারণ এই পরিবারের লোকজন সব সময় এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থাকে। মাহবুবুল হাসান ব্যক্তিগত জীবনে একজন ব্যবসায়ী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বেই তিনি একটি আধুনিক তিন তলা বাড়ি নির্মান করেন। তিনি একটি এম্বয়ডারী কারখানার মালিক ও নিজের প্রাইভেট গাড়ি ছিল। ভগিরথপুরের চেয়ারম্যান মার্কেটের মালিক তার পরিবার যেখানে ৫০-৬০টি দোকান রয়েছে। এসবকিছুই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পূর্বে ছিল। অথচ কুচক্রী মহলরা মিথ্যাচার করছে যে আলহাজ¦ মাহবুবুল হাসান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে এসব করেছে।
বর্তমানে মেহেরপাড়া ইউনিয়নবাসী সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। মাহবুবুল হাসানের সফলতা ও জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাহবুবুল হাসানের বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।