স্টাফ রিপোর্টার: নরসিংদী রায়পুরা আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ থাকার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে এলাকাবাসী দুর্ণীতিবাজ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন শেষে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। মানববন্ধনে দক্ষিন মির্জানগর গ্রামের মৃত গোল মোহাম্মদের পুত্র বজলুর রহমান ও এলাকাবাসী জানায়, আটকান্দি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র নুর মোহাম্মদ সরকার একটি জাল দলিল সৃজন করে সন্ত্রাসীদের নিয়ে বজলুর রহমানের পৈত্রিক বসতবাড়ি দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে।
ফলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রায়পুরা এম মোকাদ্দমা নং- ২৪৯/১৮ ইং দায়ের করেন। দক্ষিন মির্জানগর গ্রামে বর্তমানে আর এস ৯০৩ দাগে ২০ শতাংশ ও ৯৮২ দাগে ১০ শতাংশ জমি পৈত্রিকসূত্রে মালিক হয়ে বাশঝাড় গাছপালা ও বসতঘর নির্মান করে বজলুর রহমান প্রায় ৪০ বছর যাবৎ ভোগদখলে আছে। বিরোধীয় ভূমি নিয়ে জাল দলিল সৃজন করে নুর মোহাম্মদ সন্ত্রাসীদের নিয়ে দখল করার চেষ্টা করলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে রায়পুরা সহকারী জজ আদালতে নুর মোহাম্মদকে বিবাদী করে একটি দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করিয়াছে। বিরোধীয় ভূমিতে নুর মোহাম্মদ সরকারের কোনো দখল নেই। বর্তমানে বিরোধীয় ভূমিতে বিভিন্ন গাছ ও বাশঝাড়, কোটাপাড়া, দুচালা টিনের বসতঘর বিদ্যমান আছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দায়ের করা মামলায় বিরোধীয় ভূমির বিষয়ে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন আদালত। ফলে ইউনিয়ন সহাকারী ভূমি কর্মকর্তা জাল দলিল সৃজনকারীর নিকট থেকে ঘুষ নিয়ে একটি মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরন করেন।
মিথ্যা প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে পেরে দুর্ণীতিবাজ আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে গতকাল বিকালে দক্ষিন মির্জানগর এলাকায় এলাকাবাসী মানববন্ধন শেষে বিচার দাবি করে। জাল দলিলের বিষয়ে জানার জন্য বহু চেষ্টা করেও বিবাদী নুর মোহাম্মদকে খুজে পাওয়া যায় নি। এ বিষয়ে আমিরগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ভূমি অফিসে না পেয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করলেও ফোন রিসিভ করেন নি। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া প্রয়োজন।