স্টাফ রিপোটার:নরসিংদীর পলাশ চরসিন্দুর বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির উপর টিপু বাহীনীর সন্ত্রাসী হামলা দুই জন গুলিবিদ্ধ,চেয়ারম্যান সহ ৬ জন আহত ঘটনার এক মাসেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর দাবী টিপু বাহীনীকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা। এ ঘটনায় দুই জন গুলিবিদ্ধ সহ আহতরা এখনো চিকিৎসা দিন আছে।

২৬ মে সন্ধায় চরসিন্দুর বাজারে সিকদার ফার্মেসির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন(রতন) বলেন, ঘটনার দিন সন্ধার পর চরসিন্দুর বাজারে সিকদার ফার্মেসির সামনে মোফাজ্জল হক (টিপু) তার বাহিনি নিয়ে আমার উপর হামলা করে। আমাকে বাচানোর জন্য লোকজন এগিয়ে এলে টিপু ও তার বাহীনির হাতে আমার পক্ষের দুইজন গুলিবিদ্ধ ও আমি সহ ৬ জন আহত হয়।এলাকাবাসী জানায়,টিপুর বাড়ী শিবপুর উপজেলায় সে পলাশে এসে একটি বাহীনী গড়ে তুলে প্রতিদিন সন্ধার পর শতেক হোন্ডা নিয়ে বাজারের রাস্থায় মহরা দেয়।

এতে বাজারের পরিবেশ নষ্ট হয়।এই ঘটনা নিয়ে চেয়ারম্যান ও টিপুর মধ্যে কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে চেয়ারম্যান পক্ষের দুইজন গুলিবিদ্ধ সহ ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলেন, চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন রতন(৫০), আল হাসিব(১৮), খলিল(৩০), রাজিব(৩০), ছোটন খান(৩৫), পলাশ উপজেলার যুগ্ন সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন(৫০)।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে চরসিন্দুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন (রতন) ও মাহফুজুল হক (টিপু) মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ নিয়েই উভয় পক্ষ চরসিন্দুর বাজারে সিকদার ফার্মেসির সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের ৯ জন আহত হন।

পরে পলাশ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে তবে এ ঘটনায় হতাহাতের কোন ঘটনা ঘটেনি। এঘটনায় একমাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত টিপু বাহীনির কেউ গ্রেফতার হয়নি। পলাশ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার দিন আমরা সরেজমিনে উপস্থিত ছিলাম। মাহফুজুল হক টিপু সাহেব একটি ঔষুধের ফার্মেসিতে বসা ছিল। তখন রাজন কিছু ছেলেপেলে নিয়ে আসলে সামান্য ঘটনা নিয়ে ২ পক্ষ ধাক্কাধাক্কি শুরু করে।

আমরা তাৎক্ষনিকভাবে চেষ্টা করেছি ২ পক্ষকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য। পরবর্তীতে ওসি সাহেবকে ফোন দিয়েছি। পরে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনা পরিদর্শনে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। অপর পক্ষ মাহফুজুল হক (টিপু) বলেন, আমি সন্ধার পর চরসিন্দুর বাজারে সিকদার ফার্মেসিতে ঔষধ কিনার জন্য যাই হঠাৎ করে চেয়ারম্যান আমাকে মারার জন্য লোকজন নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় আমিও আমার লোকজন নিয়ে ফার্মেসির সাটার বন্ধ করে থানা পুলিশকে মোবাইলে জানালে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে আমাদেরকে রক্ষা করে।

পলাশ থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এ ঘটনায় অভিযোগ থাকার পর একমাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উভয় পক্ষ সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্ত শাস্থির দাবী জানিয়েছেন তারা। এই ব্যাপারে উদ্ধতন কতৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।

এখানে কমেন্ট করুন: