নরসিংদী সদর উপজেলার মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. শাহীনের বিরুদ্ধে এক হিন্দুু লোকের জমির চারপাশে বাধ নির্মানের কাজে ব্যবহৃত ভেকু পুড়িয়ে ফেলার হুমকিসহ ভেকুর ড্রাইভারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রবিবার এসকে বেটার (ভেকুর) মালিক মোঃ আলমাস ভূইয়া বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ডা. শাহীনের বিরুদ্ধে মাধবদী থানায়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্থানীয় সরকার বিভাগে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, নরসিংদীর মহিষাশুড়া ইউনিয়নের দর্গাকান্দা এলাকায় এক হিন্দু লোকের জমিতে ব্যবসার প্রজেক্ট নিয়ে এসকে বেটার ভেকু দিয়ে মাটি খননের কাজ করে আসছিলেন আলমাস ভূইয়া। গত শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২ টার দিকে শাহীন চেয়ারম্যান ভেকুর মালিক আলমাস ভূইয়া ফোনে হুমকি ধমকি প্রদান করেন।

অভিযোগকারী আলমাস ভূূইয়া জানান, ২৪ অক্টোবর শাহীন চেয়ারম্যান আমাকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করে, কার কাছ থেকে অনুুমতি নিয়ে এই কাজ করতেছি। উত্তরে আমি জানাই, জমির মালিক আমাকে এ কাজের চুক্তি দিয়েছে। তখন চেয়ারম্যান বলে, আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আমার কাছ থেকে অনুুমতি না নিয়ে তুমি কাজ করতেছে, তুমার সাহস কত। এখনই কাজ বন্ধ করো নইলে তুমার ভেকু তো দূরের কথা, ভেকুুর ছাইও পাইবা না। তখন উত্তরে আমি বলি, আমি আপনার ইউনিয়নে বিগত ২ বছর ধরে অনেক কাজ করতেছি কোন সময় তো এরকম কথা বলেননি। তখন শাহীন চেয়ারম্যান বলেন, ঐগুলাতে সমস্যা ছিলো না, এইটাতে সমস্যা আছে। আমি তোমাকে বলছি কাজ বন্ধ করো নইলে ভেকুতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলবো। একপর্যায়ে ওনার কাছে অনুরোধ করি, আমার ভেকু পুড়িয়ে আপনার কি লাভ? এটা আমার ব্যবসা, আপনি জমির মালিকের সাথে কথা বলেন।
এরপর ওনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে খারাপভাবে বলেন, তোমার সাহস কতো, আমি এই রাজ্য্যের বাদশা, আমার অনুমতি না নিয়ে আমার রাজ্যের জমিতে কোপ দিয়েছ। এখনি কাজ বন্ধ করে জমির মালিককে নিয়ে আমার কাছে এসো। আমার ঝামেলা আগে শেষ করো বলে ফোন কেটে দেয়।

এরপর শাহীন চেয়ারম্যনের লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে এবং আমার ড্রাইভারের উপর তার সমর্থক হাদিকুল মিয়া, নাদিম হোসেন ওরফে নাদির ও বাসার মিয়া হামলা চালায়। আমি বর্তামানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হামলাকারীদের নামে এর আগেও লুটপাটের মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যান ও তার লোকজন যে কোন সময় আমার জান মালের ক্ষতি করতে পারে।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আলমাস ভূইয়া ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য মাধবদী থানায়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

চেয়ারম্যান এবং ব্যবসায়ী আলমাস ভূইয়ার সেই ফোনালাপ:

এখানে কমেন্ট করুন: