নরসিংদীর রায়পুরায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে আব্বাস আলী ওরফে নাহিদ নামের পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাদি হয়ে রায়পুরা থানায় এই মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের বাড়ি রায়পুরার পৌর এলাকার হাসেন আলী মোড়ে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় তিন মাস আগে নরসিংদী জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে তৃণমূলের যোগ্য ছাত্রনেতাদের বঞ্চিত
করে হত্যা মামলার আসামীসহ বিতর্কিতদের স্থান দেওয়া হয়। ওই কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়েছিলো। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তৃণমূলের বঞ্চিত ছাত্রনেতারা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক শ্যামলকে নরসিংদী জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এতে শ্যামল ও তার অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়। অন্যদের মত নাহিদও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে শ্যামলের সমালোচনা করে বেশ কিছু পোস্ট দেয়। এর জের ধরে বিভিন্ন সময় শ্যামল ও তার অনুসারীরা তাকে হুমকি দিয়েছে।

মামলার বাদি ও পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস আলী নাহিদ জানান, গত ২৮ জুন বিকেলে ছোট বোনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে নবীয়াবাদ মোড় পৌঁছলে শাওন, আবদুল্লাহ, রুবেল ও শাহ পরাণ তার পথরোধ করে। তখন রাফসান শাওন শ্যামলকে লাউড স্পিকারে কল দেয়। শ্যামলের হুকুমেই তাকে মারধর করে তারা। রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। যাওয়ার সময় তার কাছে থাকা ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যায়।

ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ভর্তি হয়। ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর রায়পুরা থানায় এসে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে সে।

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, আজ সকালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদিকে মারধর ও ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভিকটিম অপারেশনের জন্য নরসিংদী ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি আছে।

এখানে কমেন্ট করুন: