স্টাফ রিপোটার: নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জুরুরি সভাটি সকাল ১০ টায় শুরু হয়ে এক টানা বিকাল আড়াইটা পর্যন্ত চলে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি এড. আ:হান্নন ভূইয়া,সাবেক সভাপতি এড.শাহাজাহান মিয়া,সাবেক সভাপতিএড.সিরাজ মিয়া. সাবেক সভাপতি এড.আমজাদ হোসেন,সাবেক সভাপতি এড.আ: মান্নান ভূইয়া,সাবেক সভাপতি এড.আবুল কালাম আজাদ, সাবেক সভাপতি এড,মিজানুর রহমান নাজির,সাবেক সভাপতি এড.আ: বাছেদ ভূইয়া,সাবেক সভাপতি এড,নজলে কাদীর,সাবেক সাধারন সম্পাদ এড.বশিরুল কাদের,সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসরাম রিপনসহ সিনিয়র, জুনিয়র প্রায় ৬ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আর দীর্ঘ সময় জরুরি সভা চললেও কোন সিদ্ধান্তে পৌছতে না পেরে আগামী সোমবার পর্যন্ত সভাটি মুলতবী ঘোষনা করেন । তবে আদালতের কার্যক্রম আগের মতোই চলবে বলে জানান তারা। গত ২ অক্টেবর বুধবার সন্ধ্যায় আইনজীবী সমিতি ভবনে সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলামের কক্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবীরা।এই হামলার ৫ জন আইনজীবী আহত হয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানান তারা। হামলায় আহতরা হলেন, এডভোকেট হাসান আল মামুন, এডভোকেট মোহাম্মদ আলী টুটুল, এডভোকেট আল আমিন, এডভোকেট আনিস এবং এডভোকেট নাসরিন আক্তার।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কাজী নাজমুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে জেলা ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্তরা আইনজীবী সমিতি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সমিতির সভাপতির কক্ষে হামলা চালায়। এ সময় অন্য আইনজীবীরাও ওই কক্ষে বসা ছিলেন। সমিতির সভাপতিকে বাঁচাতে আইনজীবীরা ঘিরে ধরলে তাদের ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় সমিতির সভাপতি কাজী নাজমুল ইসলাম নিরাপদে বের হতে পারলেও হামলায় আহত হন ৫ আইনজীবী।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে নাহিদ তার ফেসবুক একাউন্টে ৯ মিনিট ৩৮ সেকেন্টের একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তাকে বলতে দেখা যায়, আওয়ামী সরকারের পতনের মাধ্যমে আজকে নতুন বাংলাদেশ হয়েছে। তারেক রহমান ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম, নাশকতা প্রতিরোধে আমরা ছিলাম।
গতকালকে মাধবদীতে একটি মামলা হয়েছে, সেই মামলার বাদীকে আইনজীবীসহ আওয়ামী লীগের লোকজন জোরপূর্বক তুলে এনে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে। আমরা গিয়ে বাদীসহ হলফনামা উদ্ধার করেছি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে জানতে ফোন করা হলে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক ফোন রিসিভ করেননি। তবে কোর্ট পুলিশ পরিদশক জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনায় সকাল থেকে জরুরি সভা করার কারনে আদালতে কাজের কিছুটা বিঘ্ন সৃস্টি হলেও জরুরি কায্যক্রম আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলার ঘটনাটি সিসি ফোটেজ বিভিন্ন গনমমাধম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।