বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আগামী ডিসেম্বর কিংবা নভেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। হাতে মাত্র ৪/৫টি মাস। প্রতিটি দলেই ভেতরে ভেতরে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে বলে খবর রটেছে।
দলীয় সুত্রে তথ্য পাওয়া যায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তাদের আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রাথমিক খসড়া তালিকা তৈরি করেছে।
এনজিও, বিভিন্ন জরিপ সংস্থা এবং দলের বিশেষ অনুুসন্ধানী টিমের মাধ্যমে মাঠে জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হবে বলে জানা যায়।
কেননা ১০ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিবেন। ফলে হাড্ডাহাড্ডি ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পুর্ণ নির্বাচন আশা করছে সরকার।
ফলে ৩০০ আসনে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ব্যক্তিরা যত পাওয়ারফুল এমপি হবে হোক এমন অনেকেই নাকি মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন।
বিভিন্ন জরিপের প্রতিবেদনে তালিকায় রয়েছেন মাঠে তুমুল জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজধারী অর্ধশত তরুণ। যাদের হাতে আগামীতে শোভা পাচ্ছে নৌকার প্রতীক।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে হতে এ ধরনের একটি ইংগিত পাচ্ছে জাতীয় গণমাধ্যম।
দলীয় সূত্রমতে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য ২১০টি আসন। বাকি ৯০টি আসন মহাজোটের জন্য রাখা হবে। ২১০টি আসনকে লক্ষ্যমাত্রা ধরে প্রার্থী চূড়ান্ত করার কাজ চুড়ান্ত হচ্ছে বলে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা নিশ্চিত করেছেন।
তবে ২১০ আসনের মধ্যে কিছু আসনে দুজন করে প্রার্থী রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একটু সময় নেওয়া হচ্ছে।

দলীয় সুত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় যারা রয়েছেন, পঞ্চগড়-২ আসনে নুরুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনে রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও-২ আসনে মো. দবিরুল ইসলাম, দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দিনাজপুর-৩ আসনে ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী, দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর, লালমনিরহাট-১ উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল অথবা মহাজোট থেকে কেউ, লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ,
রংপুর-৪ টিপু মুন্সী, রংপুর-৫ এইচ এন আশিকুর রহমান, গাইবান্ধা-২ মাহাবুব আরা গিনি, গাইবান্ধা-৩ ইউনুচ আলী সরকার।
জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বগুড়া-১ আবদুল মান্নান, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-২ শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৬ ইসরাফিল আলম, রাজশাহী-১ আসনে ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-৬ শাহরিয়ার আলম, নাটোর-৩ জুনাইদ আহমেদ পলক, সিরাজগঞ্জ-১ মোহাম্মদ নাসিম, সিরাজগঞ্জ-২ হাবিবে মিল্লাহ মুন্না, সিরাজগঞ্জ-৪ তানভীর ইমাম, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুব-উল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, ঝিনাইদহ-২ তাহজীব আলম সিদ্দিক, যশোর-৩ কাজী নাবিল, যশোর-৫ পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য।
মাগুরা-১ সাইফুজ্জামান শিখর, মাগুরা-২ বীরেন সিকদার, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-৩ হাবিবুন্নাহার খালেক, খুলনা-৪ এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা, খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সাতক্ষীরা-৪ এস এম জগলুল হায়দার, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ, ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, বরিশাল-৪ পংকজ দেবনাথ, বরিশাল-৫ বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ।
ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু, টাঙ্গাইল-১ ড. আবদুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল-২ মশিউজ্জামান খান রুমেল, জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ, জামালপুর-৩ মির্জা আজম, শেরপুর-১ আতিউর রহমান আতিক, শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, ময়মনসিংহ-১০ ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-২ নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান পাপন, মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক স্বপন, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃণালকান্তি দাস,ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ বিপু, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১০ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা-১১ এ কে এম রহমত উল্লাহ, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা-১৪ আসলামুল হক অথবা সাবিনা আক্তার তুহিন, ঢাকা-১৭ ওয়াকিল উদ্দিন আহমেদ অথবা মহাজোটের প্রার্থী, গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ অ্যাডভোকেট রহমত আলী, গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি, নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ হুমায়ুন, নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ কে এম শামীম ওসমান, রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী।
ফরিদপুর-২ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, ফরিদপুর-৩ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুর-৪ কাজী জাফরউল্লাহ, গোপালগঞ্জ-১ লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
গোপালগঞ্জ-৩ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মাদারীপুর-১ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন, মাদারীপুর-২ শাজাহান খান, শরীয়তপুর-১ বি এম মোজাম্মেল হক, শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক, সুনামগঞ্জ-২ জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-৫ মহিবুর রহমান মানিক।
সিলেট-১ সদর আসনে আবুল মাল আবদুল মুহিত, সিলেট-৪ ইমরান আহমেদ, মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-৩ সৈয়দা সায়রা মহসীন, মৌলভীবাজার-৪ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, হবিগঞ্জ-৩ আবু জাহির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-৩ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, কুমিল্লা -৫ আবদুল মতিন খসরু, কুমিল্লা -৬ আ ক ম বাহাউদ্দিন, কুমিল্লা -৮ নাসিমুল আলম চৌধুরী নজরুল অথবা জোটের কেউ, কুমিল্লা -১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-১০ মুজিবুল হক, চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, চাঁদপুর-৪ ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া, চাঁদপুর-৫ মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম, ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন, নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম, নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের, লক্ষ্মীপুর-৩ এ কে এম শাহজাহান কামাল, চট্টগ্রাম-১ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৭ হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম-১০ আফসারুল আমিন, চট্টগ্রাম-১২ সামশুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী, পার্বত্য বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈ সিং ও রাঙামাটিতে দীপঙ্কর তালুকদার।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তালিকায় দুজন করে প্রার্থী রাখা আছে কয়েকটি আসনে। সে আসনগুলো হলো কক্সবাজার সদর-৩ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল অথবা ইশতিয়াক আহমেদ জয়, কক্সবাজার-১ পেকুয়া চকরিয়া আসনে ডঃ আশরাফুল ইসলাম সজীব অথবা জাফর আলম, গাইবান্ধা-৫ আসনে ফজলে রাব্বী মিয়া অথবা মাহমুদ হাসান রিপন, চট্টগ্রাম-৬ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী অথবা মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, নওগাঁ-৫ আবদুল মালেক অথবা নিজাম উদ্দিন জলিল জন, সিরাজগঞ্জ-৩ গাজী ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন অথবা লুৎফর রহমান দিলু, পাবনা-১ শামসুল হক টুকু অথবা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, বাগেরহাট-৪ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ অথবা ডা. মোজাম্মেল হক,
খুলনা-৩ বেগম মন্নুজান সুফিয়ান অথবা এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা-২ কামরুল ইসলাম অথবা শাহীন আহমেদ, গাজীপুর-৫ বেগম মেহের আফরোজ চুমকি অথবা আখতারুজ্জামান, নরসিংদী-৫ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু অথবা এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি অথবা সুজিত রায় নন্দী, সুনামগঞ্জ-৩ এম এ মান্নান অথবা আজিজুস সামাদ ডন,
কুমিল্লা-৭ অধ্যাপক আলী আশরাফ অথবা অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা-৯ তাজুল ইসলাম অথবা দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
তাদের ব্যাপারে সর্বশেষ জরিপ ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে এমনটি জানা যায়।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *