মো. হৃদয় খান: নরসিংদীতে একমাত্র কণ্যা সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সুরেশ তেলের স্বত্বাধিকারী সুধীর চন্দ্র সাহার পরিবার। তাই মেয়েকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্বজনরা। আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এই আবেদন জানান।

সভায় সুধীর চন্দ্র সাহা বলেন, আমার একমাত্র সন্তান লিমা সাহাকে পুঁজি করে আমার ধন-সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করে আসছে শহরের একটি বিতর্কিত পরিবার। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে ওই পরিবারের ছেলে সৈকত পাল আমার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিপদগামী করে। বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচর হলে মেয়ে লিমাকে কলকাতার আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২৪ মে লিমা বিমানে ঢাকায় ফেরেন। আত্মীয়রা তার জন্য বিমানবন্দরের রিসিপশনে অপেক্ষা করছিলেন।

এ সময় কাষ্টমস কর্মকতার সহায়তায় সৈকত ও তার সহযোগীরা লিমাকে অপহরণ করে বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের করে নেয়। এরপর সরাসরি কোর্টে নিয়ে লিমাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগীতায় লিমাকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ওই পরিবারের সার্চ ওয়ারেন্ট মামলায় পুলিশ চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে লিমাকে আদালতের মাধ্যমে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠিয়েছে। এই ক্ষেত্রে পরিবারের মতামতকে গ্রহণ করেনি আদালত।

সুধীর সাহা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আইনের কিছু বিধি বিধানের কারণে ১৮ বছরের পর সন্তানের উপর কোন অধিকার থাকেনা জন্মদাতা মা-বাবার। আর এই আইনের সুযোগ নিয়ে তাঁরা আমার মেয়ের জীবনকে ধ্বংস করছে। আমার মেয়ে আজ অন্ধকার কারাগারে দিন কাটাচ্ছে। তার জীবন আজ সংকটে। মেয়ের কারণে তার মাও আজ অসুস্থ্য।

আমার দীর্ঘদিনের গড়ে তোলা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম। মানুষের জন্য আইন, আমি আমার একমাত্র মেয়েকে ফিরে পেতে চাই। এইজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোরশেদ শাহরিয়ার, নরসিংদী জেলা টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসেয়িশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আমিন চৌধুরী, নরসিংদী জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মতি প্রমুখ।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *