স্টাফ রিপোটার:তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আরও ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে আছে ৩০টি। ১১টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং ৪টি ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সংসদে টাঙ্গাইল-৬ আসনের আহসানুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে আছে ৩০টি। ১১টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং ৪টি ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, অপেক্ষায় থাকা টিভি চ্যানেলগুলো হলো আব্দুল্লাহ আল মামুনের চ্যানেল ২১, নুর মোহাম্মদের উৎসব, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের রংধনু, ধানাদ ইসলাম দীপ্তর তিতাস, তানভির আবিরের খেলা টিভি, জিনাত চৌধুরীর আমার টিভি, মামুনুর রশীদ কিরণের গ্লোবাল টিভি, মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সিটিজেন টিভি, তানজিয়া সিরাজের প্রাইম টিভি, শীলা ইসলামের স্পাইস টিভি ও আবুল বাশার মোহাম্মদ রকিবুল বাসেতের টিভি টুডে।
এদিকে, বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচার করা হচ্ছে তা সংসদকে জানালেন তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ। মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের (মেহেরপুর-২) এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তালিকাটি জানান।
ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাব হাছান মাহমুদ জানান, সম্প্রচার আইন-২০১৮ (খসড়া) মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। ভেটিংয়ের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই আইনের আওতায় সম্প্রচার কমিশন গঠন হলে সোশ্যাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমের সম্প্রচার নিবিড়ভাবে তদারকি করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর (২০১৯) থেকে ভারতের দূরদর্শনের ডিটিএইচ প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিটিভি ওয়ার্ল্ড দেশটিতে সম্প্রচার হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো অনলাইন ও আইপি টিভি ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রচারিত হচ্ছে।