ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো খেলে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়া। অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে করা মানি লন্ডারিং মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তদন্তে এনু ও রূপন ছাড়াও ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারেরও সম্পৃক্ততা মিলেছে। এনু ও রূপনের ৪ মামলার চার্জশিটে সংঘবদ্ধ অপরাধের কথা বলা হলেও আসামির তালিকায় যুবলীগের সাবেক নেতা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ওরফে ক্যাসিনো সাঈদের নাম আসেনি।

তবে র‌্যাব অভিযানের সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিল, ফকিরাপুলে ইয়াংমেন্স ক্লাব, ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও বনানীর গোল্ডেন ঢাকা ক্লাবের মধ্যে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবটির ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন বিতর্কিত কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। এই ক্লাবে নিয়মিত ক্যাসিনো, জুয়া, মাদকের আসরের পেছনের কারিগর তিনিও। সূত্র জানায়, মামলায় এনু ও রূপনসহ তাদের ম্যানেজার, বন্ধু ও কর্মচারীদের আসামি করা হয়েছে।

অথচ ৪ মামলার চার্জশিটে সংঘবদ্ধ অপরাধের কথা বলা হলেও আসামির তালিকায় নাম আসেনি মমিনুল হক সাঈদের। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক।

সিআইডি জানায়, ৪ মামলায় বেশির ভাগই কমন আসামি। চার মামলায় ৫১ আসামি হলেও তারা মানুষ ১৮ জন। এই ১৮ জনই মামলায় আসামি হয়েছেন। এরা সংঘবদ্ধভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে নিজেদের কাছে রেখেছিল। আসামিরা এই অর্থ উপার্জনের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।

মামলাগুলো হলো- ওয়ারী থানার মামলা নম্বর ৩৪, সূত্রাপুর থানার মামলা নম্বর ২৯, গেন্ডারিয়া থানার মামলা নম্বর ২৮ এবং সূত্রাপুর থানার মামলা নম্বর ২৭। এর মধ্যে গেন্ডারিয়া থানার মামলায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সূত্রাপুর থানার ২৭ নম্বর মামলায় ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকার কথা বলা হয়েছে। ওয়ারী ও সূত্রাপুরের আরেকটি মামলায় ২ কোটি ও ৮৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।

এখানে কমেন্ট করুন: