মো.শফিকুল ইসলাম(মতি)নরসিংদী :নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগের নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘঁনায় ৪শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার(২ এপ্ররিল)পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪শ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানা এ মামলা দায়ের করে।
হেফাজত ইসলামের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত সোমবার হরতালের দিনে হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দ্বারা যেন রায়পুরা স্টেশন বা সরকারি সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেই লক্ষে মহেষপুর ও মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতারা দৌলতকান্দি স্টেশনে বসে মিটিং করছিল। ওই সময় স্থানীয় তালুকান্দি মসজিদের ইমাম মাওলানা মোবারক বার বার স্টেশন এলাকায় ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতার্কর্মীদের সাথে মাওলানা মোবারকের কথাকাটা কাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে মাদ্রাসাতুস তাওহীদ বেগমাবাদের পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন ভেন্ডার উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দেয়।
বুধবার বিকেলে সমঝোতা দিন ঠিক করা হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের ৩০ জন থাকার কথা থাকলেও মাদ্রাসা মাঠে শত শত মাদ্রাসা ছাত্র ও মুসুল্লি উপস্থিত হয়।পরে জহির উদ্দিন ভেন্ডার আওয়ামী লীগ নেতাদের সালিসে আসতে নিষেধ করেন।
পরে ওই দিনই সন্ধায় মাওলানা মোবারকের সমর্থিতরা লাঠি শোঠাসহ একটি মিছিল নিয়ে মহেষপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পাভেজ আহম্মেদ, ইউনিয়ন তাঁতীলীগের সভাপতি আব্দুল হাদির বাড়ী ও মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেনের একটি ডেকোরেটরে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।খবর পেয়ে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফাসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ওই সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে। ঘটনার দুই দিন পার হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তরা থানায় মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেনি। পরে ঘটনার দুই দিন পর রায়পুরা থানার এস আই মনির অজ্ঞাত নামা ৪শ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা দায়ের করেন। রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কোন প্রকার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পরে শুক্রবার পুলিশ ৪শ জনকে আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করে।