মো.শফিকুল ইসলাম মতি,নিউজ সময়:নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান ও তার ভাই সাবেক সাংসদ কামরুল আশরাফ খানকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। পাশাপাশি নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন ব্যবহারের জন্য ৭ হাজার দেশীয় অস্ত্র তিনি প্রস্তুত রেখেছেন বলে হুমকি দিয়া আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। এরই মধ্যে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়েছে।
সোমবার(২৫ ডিসেম্বর)বিকালে নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান গনমাধ্যমকে জানায় আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলমের কাছে সতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। নৌকার প্রার্থী ফজল্লে রাব্বি খান বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগকালে আমার এবং আমার চাচাতো ভাই নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সাংসদ আশরাফ খান পোটনকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
পাশাপাশি তিনি নিজে ও এ পিএস কালামের মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে কাল টাকা ছড়াচ্ছে এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রলোভন দেখাচ্ছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি আরও বলেন গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের কামরাব স্কুল মাঠে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা তার নির্বাচনী পথসভায় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেন।
ওই সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান নাদিম আহমেদ সরকার তার বক্তব্যে ৭ হাজার দেশীয় অস্ত্র (টেঁটা, সুলফী, ছোরা, লোহার রড, শাবল) প্রস্তত রেখেছেন মর্মে ঘোষণা দিয়েছেন। যা নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন সেসব প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করার হুমকি দিয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তার প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শনের কারণে নৌকার কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যা নির্বাচন আচরণ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।
এ বিষয়ে সতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান আমি কাউকে হুমকি দেয়নি আর অন্য কেউ দিয়ে থাকলে আমার জানা নেই।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান,বিষয়টি জানার পর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে ভোট প্রয়োাগ করতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করছি।