স্টাফ রিপোর্টার::নরসিংদী পৌর শহরের রাঙ্গামাটিয়া পশ্চিম কান্দাপাড়া ২নং পানির ট্রাংকির পাশ্ববর্তী স্থায়ী বাসিন্দা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দ্বিতীয় তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং এর সামনে দেয়াল ঘেষা পল্লী বিদ্যুতের খুটির নিচে মারফত আলী নামে এক ব্যক্তি চায়ের দোকান স্থাপন করে।
এতে করে এলাকায় অগ্নিকান্ডের আশংকাসহ জনসাধারনের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্দকতায় শৃস্টি হওয়ায় ঐ অবৈধ স্থাপনা ও চায়ের দোকান উচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী স্থানীয় সংসদ নজরুল ইসলাম হিরুর ও ৩নং ওয়ার্ড কাউনন্সিলর দিদার হোসেন ফটু সুপারিশসহ এলাকার ৭২ জনের স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গনমাধ্যম কর্মীদের জানায় প্রায় একমাস অতিবাহিত হলেও কোন হদিস না পাওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই শাখা থেকে জানা গেল আবেদনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এডিএমের কাছে প্রেরন করা হয়েছে।
বুধবার(১৩ মার্চ) সকালে অনেক খুঁজাখুজিরপর জানা গেল ডিসি অফিসের ৩য় তলায় বিচার শাখা বেন্সসহ কারী হানিফ মিয়ার কাছে আবেদনটি আছে। কিন্তু প্রায় একমাস হলেও এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায়নি। ফলে গনমাধ্যম কর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেন্সসহকারী জানায় দেখুন আমার সামনে শত শত আবেদন পরে আছে।
কেউ তদবীর না করলে আমরা কাজ করিনা আপনি দায়িত্ব প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে আলাপ করতে পারেন। পরে দায়িত্ব পাপ্ত বিচার শাখার ম্যাজিস্ট্রেটকে অফিসে না পাওয়ায় তাহার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী বলেন জনগন অনেক আশানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
কিন্তু এক শ্রেনীর কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের কারনে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। যারফলে লিখিত আবেদন করেও সুফল পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ আবেদন কারীদের। আবেদনে উল্লেখ করেন পল্লী বিদুৎতের খুঁটির নিচে চারটি কয়েলের চুলা প্রজ্জলিত হচ্ছে যাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে জনগনের জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হতে পারে।উক্ত দোকানে চায়ের দোকানদার উচ্চ সুরে গান বাজনা করে এবং নিয়মিত মাদক সেবন কারীদের আড্ডা হয়, অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে অশালিন ব্যবহার করে।
অত্র এলাকার জন সাধারনের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে চা দোকানী। এলাকায় খারাপ কাজের আস্তানা হচ্ছে এক মাত্র ঐ চায়ের দোকান। এলাকাবাসীর দাবী উক্ত চায়ের দোকনটি উচ্ছেদ করা হোক। সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের অনেকের সাথে কথা বলে জানাযায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রশাসনের নাকের ডকায় সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করা হলেও প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দৈনন্দিন ব্যবসায়ীক কাজ শেষে রাতে বাড়িতে ফেরার পথে ঐ এলাকায় ছিনতাইয়ের ভয় ও আতঙ্কে চলাচল করতে হয় তাদের।এছাড়াও নরসিংদী পৌরশহরের রাস্তা দখল করে বিভিন্ন দোকন পাট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে তাদের ব্যবসা চালানোর কারনে পথচারী ও যান বাহন চলাচল করতে পারছেনা যার ফলে শহরে দিবারাত্রী যানজট লেগেই থাকে, স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীসহ জনসাধারন তাদের অত্যাচারে আজ অতিষ্ঠ।
অভিযোগ রয়েছে পৌর মেয়রের লোকজনের ছত্রছায়ায় অবৈধ দখলদা রাস্তা বন্ধ করে ব্যবসা করায় শহরে ব্যাপক যান জটের সৃষ্টি করলেও পৌর মেয়র অবৈধ দখলদ্বারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। যারফলে আতংকে দিন পারকরছে এলাকাবাসীর। অতিশীঘ্রই অবৈধ চায়ের দোকান বন্ধের বাদী এলাকাবাসীর। এসব বিষয়ে বিবাদীসহ প্রশাসনের কেউ কথাবলতে রাজি হয়নি।