শেখ মানিক, শিবপুর প্রতিনিধি: নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলায় পরিবেশ আইন অমান্য করে প্রভাবশালীরা অবাধে লাল মাটির পাহাড় ও টিলা কাটলেও তা প্রতিরোধে প্রশাসন কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। অব্যাহত পাহাড় কাটার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে এলাকার সৌন্দর্য। মাঝে মাঝে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান পরিচালনা করে দুই এক জনকে জরিমানা করলে অদৃশ্য কারণে থেমে যায় প্রশাসনের এ অভিযান। আর এ সুযোগেই পাহাড় ও টিলা কাটা চালিয়ে যায় ভূমি দস্যুরা। এসব অপকর্মের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের নেতাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তির জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়।

অথচ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫-এর ৬(খ) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। তবে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থের প্রয়োজনে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে পাহাড় ও টিলা কাটা যেতে পারে। তবে এ আইন যেন টিলা খেকোদের কাছে শুধুই “নীতিবাক্য” ।

সরেজমিনে উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় বাঘাব দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারি আবুল কাশেম এর টিলাকাটার দৃশ্য চোখে পড়ে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এলাকাবাসী এতে বাধা প্রদান করলেও তাদের বাধাকে উপেক্ষা করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই টিলাকাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে আবুল কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার টিলার মাটি শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ উল ইসলাম মৃধার রাস্তার জন্য বিনা পয়সায় দিয়েছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনে ফোন করে পাওয়া পাওয়া যায়নি।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *