নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি:
নরসিংদী পৌর শহরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে একটি টায়ার পোড়ানোর কারখানা। এখানে পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে ফার্নেস অয়েল (জ্বালানি তেল)। দিনের অধিকাংশ সময় টায়ার পোড়ার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকছে আশপাশ এলাকা। উক্ত কারখানাটিতে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় শ্রমিকরা পুরা প্লাস্টিকের কয়লায় ও তেলে পুরো শরীর একাকার তাদের চিনার উপায় নেয়।

শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা হাতে মুখে মাকস বা হাত মোজা কোন ব্যবহার করিনা আমাদেরকে কিছুই দেয়নি। আমরা নানান রোগে ভোগছি। চিকিৎসকরা বলছেন, দীর্ঘদিন এ বিষাক্ত ধোঁয়ার মধ্যে থাকলে শ্বাসকষ্টসহ ফুসফুসের জটিল রোগ হতে পারে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,বাবুল চন্দ্র বর্মন নামের (ডাইনামিক গ্রুপ) একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন এ কারখানায় শুরুর দিকে প্লাস্টিক জাতীয় জিনিসপত্র ভাঙা হতো।

এখন টায়ার পুড়িয়ে তেল তৈরি করা হচ্ছে।এলাকাবাসী জানায়, ২০১৬ সালের দিকে নরসিংদী-মদনগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নিকটবর্তী পৌর শহরে নতুন বাস স্টেশনসংলগ্ন স্থানে কারখানাটি গড়ে ওঠে। বাবুল চন্দ্র বর্মন এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। শুরুতে পুরনো প্লাস্টিক গুঁড়ো করা হতো। হঠাৎ করে কারখানা থেকে নিয়মিত ধোঁয়া নির্গমন হলে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসে।

এলাকাবাসী সাংবাদিদের জানায় প্রশাসনকে বহুবার জানানো হয়েছে কিন্তু তারা কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। এর ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে দাবী জানায় পৌর শহরের বাসিন্দারা। পৌর শহরের ভিতর এধরনের কারখানা থাকলেও প্রশাসন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কারখানার মালিক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ কারখানা নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিচ্ছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, কারখানার আশপাশের গাছগাছালি মরে যাচ্ছে। পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে এলাকা। কালো ধোঁয়ায় এলাকায় টেকা দায় হয়ে পড়েছে।কারখানার বৈধতার বিষয়ে খোঁজখবর নিতে সরেজমিনে ওই কারখানায় গেলে মালিককে পাওয়া যায়নি। ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা প্রশাসনকে মেনেজ করেই কারখানা চালাচ্ছি। পরে মালিক বাবুল চন্দ্র বর্মন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমরা প্রশাসনকে মেনেজ করেই চলি আপনা লিখে কিছুই করতে পারবেন না।এব্যাপারে প্রশাসনের কেউ কথাবলতে রাজি হয়নি।

এখানে কমেন্ট করুন: