শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বাসচাপায় নরসিংদীর রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী-সন্তানসহ একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় প্রাইভেটকার চালক ও এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদীর মাধবদী বাংলা টেক্সটাইলের মালিক রফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহীনা (৩৫), কলেজপড়ুয়া ছেলে নাবিল ইসলাম (১৯), মেয়ে রওনক জাহান (১৩) ও রফিকুলের শ্যালক আশরাফ (২৫)।
পরিবারের একমাত্র বেঁচে যাওয়া তিন বছরের শিশুপুত্র নাহিদকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (অঅইসিইউ) রাখা হয়েছে।
নরসিংদী জেলার মাধবদীতে বসবাস করতেন তারা। সপরিবারে ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শ্বশুরবাড়ি এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়, রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ঈদের ছুটি শেষে নিজের প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শ্বশুড়বাড়ি এসেছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর নামক স্থানে পৌঁছালে কিশোরগঞ্জগামী এমকে পরিবহনের দ্রুত গতির একটি বাস ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহানা মারা যান।
খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, মেয়ে রওনক জাহান ও দুই ছেলে নাবিল ইসলাম ও নাহিদ এবং প্রাইভেটকারচালক সেলিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, নাবিল ইসলাম ও রওনক জাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, পুলিশ বাসটি আটক করেছে তবে চালক পালিয়ে গেছে।