স্টাফ রিপোটার:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়। এসময় বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি।
রোববার (২১ জুন) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এবং একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে পাড় কেটেই পুকুর কাটার বিল নেওয়া হয়। পুকুরের গভীরতা খনন না করে চারপাশ পরিষ্কার করেই বিল নেওয়া হয়।
এর আগে একনেক সভায় এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে ‘পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৮০ এমপির জন্য বরাদ্দ ৬৪৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ ও প্রায় ৯ হাজার ৪৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আগামী ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।
খালকাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু পাড় থেকে একটু মাটি তুলেই যেনো বিল (টাকা) না নেওয়া হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নজর রাখান নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন তার কাছে খাল কাটা ও পুকুর সংস্কারের নামে শুধু ছেঁটে-ছুটে বিল তোলা হয়েছে এ বিষয়টি আমি চেক করিয়েছি। মন্ত্রণালয়কে বলেছি এটা ভালো করে দেখা দরকার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কেউ কেউ করেছে, এটা আমিও দেখেছি। এটা সম্পর্কে তিনি (প্রধামন্ত্রী) জানেন এবং খুব স্টং মন্তব্য করেছেন। মাটিকাটা হলে সেটা যেনো প্রয়োজনীয় গভীর করে কাটা হয়। আর মাটি যে কাটা হয়েছে সে মাটি গেলো কোথায় এ বিষয়ে ঠিকাদারকে জবাব দিতে হবে।