স্টাফ রিপোর্টার:নরসিংদীতে আলোচিত রানা আকবর মোল্লার হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ।গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয় নগর থানার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বামোটিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম, ইব্রাহিম ওরফে বল্টু ইব্রাহিম (৩০)। তার বাড়ি নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া এলাকায়।
গত মঙ্গলবার রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান নরসিংদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাসেম ভূঁইয়া।ওসি আবুল কাসেম ভূঁইয়া জানান,গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠে একদল সন্ত্রাসীর হাতে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হন রানা। ঘটনার পর নরসিংদী মডেল থানায় নিহতের স্ত্রী লিজা আক্তার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর হত্যাকান্ডে সহযোগী সাকিব, সেতু ও লিটন নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরও জানান, আসামি বল্টু ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
তিনি জানান, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বিদেশী একটি পিস্তল ইউএমসি জুট মিলের পরিত্যক্ত কলোনির বাউন্ডারির পাশে লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে তার দেখানো মতে পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়। বল্টু ইব্রাহিমকে অস্ত্র মামলাসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আসামীদের বিচারের দাবীতে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার সকালে নরসিংদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত এতে বক্তব্য দেন নিহতের স্ত্রী লিজা আক্তার। এ সময় রানার মা আনোয়ারা,ছেলে কদর,মেয়ে রুজাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত রানার স্ত্রী লিজা আক্তার অভিযোগ করে বলেন , নিহত রানা আকবর মোল্লার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা,রানা ছিলেন নরসিংদী শহরের ৭ নং ওয়ার্ড সাবেক ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক, আমাদের পরিবার আ.লীগের পরিবার রাজনৈতি প্রতিহিংসার কারনে শহরের চিহিৃত সন্ত্রাসী খান আল আমিন,সোহেল,সবুজ,লাল মিয়া,বল্টু ইব্রাহীম,ইয়াছিন,মোজাম্মেল,শহ পরাণ,ইঞ্জিনিয়ার ভ‚ইয়া সোলেহ,তাহিনুর,লিটন চন্দ্র শীল,সেতু,শাকিবসহ ৭/৮ জন গত ২৩ অক্টোবর রাতে পৌর ঈদগাহ মাঠে প্রকাশ্যে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে এ বিষয়ে থানায় মামলা হলেও থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করছেনা।
যার ফলে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য আসামীরা প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে, আমি আসামীদের ভয়ে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছি।যারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আমি তাদের গ্রেফতার ও ফাসী চাই।
মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে আসামী খান আল আমিনের মা শরিফা বেগম গনমাধ্যমকে জানায় আমার ছেলের নাম খান আল আমিন আমার ছেলে পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড শ্রমীক লীগের সভাপতি, আমার ছেলে সব সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছে, আমার ছেলে খান আলামিন ও নাতী ইয়াছিন, রানা হত্যার সাথে জড়িত না, রানা হত্যার সময় বাড়ীর পাশ্বের চা দোকানে ছিল আমার ছেলে আর নাতী ইয়াছিন বাড়ীতে ছিল, এলাকার বহুলোক স্বাক্ষী আছে। আমার ছেলে ও নাতী বাড়ীতে থেকে কি করে রানাকে হত্যা করল।
এ ছাড়া রানা একজন সন্ত্রাসী ছিল তার নামে দুটি হত্যা মামলাসহ বহুমামলার আসামীছিল রানা। শহরে তার একটি বাহিনী রয়েছে নাম রানা বাহিনী। নিজেদের গ্রুপের লোকদের হাতেই রানা নিহত হয়েছে। আর পূর্ব শুক্রতার কারনে আমার ছেলে ও নাতীকে আসামী করা হয়েছে। রানাকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই। কিন্তু নিরপরাধ কোন ব্যাক্তি যেন অযথা হয়রানি স্বীকার না হয়। আমি রানা হত্যা কান্ডের সুষ্ট তদন্ত দাবী করছি।