স্টাফ রিপোর্টার::নরসিংদী মনোহরদী চালাকচর ইউপি সদস্যসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারপিট ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম(সাদু মিয়া)(৪০) উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সদস্য। সোমবার(১১ মার্চ) সকালে গনমাধ্যমকর্মীদের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন মামলার বাদী নিয়াশা বেগম।

মামলার বাদী বৃদ্ধা নিয়াশা বেগম জানায় স্বামী চলে গেলে একমাত্র কন্যা সন্তানের স্বামীর বাড়ীতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছিলেন তিনি।তার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ আলী গত নির্বাচনে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরোধিতা কারায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবেশী এক মেয়েকে দিয়ে মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে মীমাংসার কথা বলে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে ঐ মেম্বার ও তার সহযোগীরা।পরে তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাড়ী ছেড়ে চলে যায় মোহাম্মদ আলী।

মোহাম্মদ আলীকে না পেয়ে আরো বেপোরয়া হয়ে উঠে স্থানীয় মেম্বার। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য সাফি মৌলভীর পুত্র সাইদুর রহমান( সাদু মিয়া)(৪০), ইব্রাহিম চকিদারের ছেলে শরীফ(২০),হাছেন মিয়ার ছেলে মোশারফ(২৫)সহ ৩/৪ জন বাড়ীতে এসে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে, না দিলে বাদীসহ স্বাক্ষী গনকে মারপিট করে শ্লীলতাহানি করে ঘরে থাকা স্বর্ণা অলংকার ও নগদ টাকা মোবাইল লুট করে বাদী ও স্বাক্ষীগনকে বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্থানীয় মেম্বার।

তারা ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে রাস্তায় রাত্রি যাপন করে উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা না নিলে বিজ্ঞ আদালতে এসে একটি সি আর মামলা দায়ের করলে ওসি ডিবিকে তদন্তের আদেশ প্রধান করেন বিজ্ঞ আদালত। পরে ডিবির এস আই ফজলে মাসুদ দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করলে ও চাঁদার টাকা না দিলে বাদীর পরিবারের সদস্যদেরকে এখনো বসত বাড়ী ঢুকতে দিচ্ছে না স্থানীয় মেম্বারের কারনে।বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন পরিবারটি।মামলার বাদী নিয়াশা বেগম জানান, আমি ন্যায় বিচার পেতে আদালতে মামলা করেছি। ইতিপূর্বে এলাকায় তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্ত চালাকচার ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম সাদু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদীর মেয়ের জামাই মোহাম্মদ আলী স্থানীয় একটি মেয়েকে পরপর দুইদিন ধর্ষন করে যার ফলে মেয়েটি অন্তসত্তা হয়ে পরে উক্ত ঘটনাটি আপোষ মীমাংসা করার জন্য টাকা দাবী করা হয়েছে আমি কোন চাাঁদা দাবী করিনি। বর্তমানে বাদী মেয়ের জামাই মোহাম্মদ আলী হাজতে রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে বাদী মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

মামলার তদন্ত কারী অফিসার ফজলে মাসুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে মেম্বারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলায় বিজ্ঞ আদারতের নির্দেশে তদন্ত করা করা হচ্ছে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন, তদন্ত শেষে সত্য ঘটনাটি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। বিজ্ঞ আদালতের বিচারক ঘটনার বিষয়টি বিচার করবেন।এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এখানে কমেন্ট করুন: