মো.শফিকুল ইসলাম মতি,নিউজ সময়:নরসিংদীর মনোহরদীতে চাঁদাবাজির মামলায় নিশ্চিন্তপুর এলাকার খোরদেশ আলমের ছেলে কিরন মিয়া(২৫),মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোশারফ হোসেন(৪৫),মৃত ছমির আলীর ছেলে কামাল হোসেন(৫২)কে গ্রেফতার করেছে মনোহরদী থানা পুলিশ। রবিবার(৩ মার্চ) রাতে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর এলাকার এ.কে.এম তৌহিদুজ্জামানের বাবা সামসুজ্জামান স্ত্রী ও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রেখে বিগত ২০১০ সালে মারা যান এর পর তার দাদা সুরুজ আলী মাষ্টার ২০১১ সালে মারা গেলে চলতে থাকে আসামীদের অত্যাচার।
আসামীদের অত্যাচারে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয় এতিম ছেলে এ.কে.এম তৌহিদুজ্জামানের পরিবার। গত ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর সকালে জমি দেখা শুনা করতে নিজ বাড়ীতে গেলে আসামীরা এতিম ছেলেটির নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে না দিলে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতে দিবেনা মর্মে দা লাঠি নিয়ে খুন জখম করতে আসলে প্রতিবেশীদের বাধার মুখে এতিম ছেটিকে আসামীরা মারতে না পেরে বিভিন্ন প্রকার প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনা মনোহরদী থানা পুলিশ মামলা না নিলে বিজ্ঞ আদালতে মনোহদী সি আর ৮৩২/২০২৩ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলে নির্দেশ প্রধান করেন। ডিবি পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে এতিম ছেলেটির মামলার ঘটনাটি সত্য বলে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালতে বিচারক তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয়ে ৫ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে। থানা পুলিশ আসামী কিরন,মোশারফ,কামাল মিয়াকে গ্রেফতার করলেও মুল আসামী মো.আওলাদ ও দুলাল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছে।
মামলার বাদী তৌহিদুজ্জামান ও নিযুক্তিয় আইন জীবী এড কফিল উদ্দিন জানায় দুপুরের দিকে গ্রেফতার কৃত আসামীদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে বিচারক মো: মাহমুদুল হাসান খানের আদালতে হাজির করা হলে উভয় পক্ষের আইন জীবীদের শুনানী অন্তে আসামীদের অন্তবর্তী কালীন জামিন মুঞ্জুর করেন বিচারক। বাদী পক্ষে এড কফিল উদ্দিন ও আসামী পক্ষে এড মো.শাহাজাহান মিয়া মামলার শুনানীতে অংশ গ্রহন করেন।