মো. হৃদয় খান: নরসিংদী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ। একজন তরুন মেধাবী ছাত্রনেতা। পৌর এলাকার নাগরিয়াকান্দি এলাকার মৃত মো. মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। গত বছরের ৮ জুন বৃহস্পতিবার রমজানে সেহেরি খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছিল নাহিদ। তখন ৩ টি গাড়ি করে অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে কয়েকজন বাড়ির ভেতরে ঢুকে নাহিদকে ধরে নিয়ে যায়। তখন তাঁরা কাউকে কোন কথা বলার সুযোগ দেয়নি। পরবর্তীতে তার আর সন্ধান মেলেনি দীর্ঘ ৯ মাস।
নিখোঁজ ছাত্রনেতার সন্ধানের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে নরসিংদী। লেখালেখি শুরু হয় ফেসবুক সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। একাধিকবার সংবাদ সম্মেলনও করা হয় ঢাকা-নরসিংদীতে। দীর্ঘ ৯ মাস পর নাহিদের সন্ধান পাওয়া যায়। স্বস্থি ফিরে আসে পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের মাঝে।
নাগরিয়াকান্দি এলাকার আব্দুল রহিম জানায়, নাহিদ যখন নিখোঁজ ছিলো, সবাই যখন বলতো তাকে আর ফিরে পাবো না। তখনো মনের মধ্যে বিশ্বাস ছিলো আল্লাহ তাকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিবেন। নামাজ পড়ে তার জন্য বারবার দোয়া করেছি।
গুমফেরত ছাত্রনেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ বলেন, সত্যিই নরসিংদীবাসীর কাছে আমি চির ঋণী হয়ে গেলাম। এতো মানুষ যে আমাকে নিঃসার্থভাবে ভালোবাসে কখনো ভাবতেই পারি নি। হয়তো তাদের দোয়া আমার সাথে ছিলো বলেই আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। গুম থাকা প্রত্যেকটি মুহুর্ত আমার কাছে মনে হয়েছিলো নরকের আগুনে পুড়েছি।
এসময় ছাত্রদলের নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনে বহুবার নির্যতন সহ্য করেছি। গুম থেকেছি দীর্ঘ ৯ মাস। এমনকি আমার পরিবারকেও হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। মামলা-হামলা তো আছেই। আশা করছি এবার সঠিক মূল্যায়ন পাবো।