শিবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হারিস রিকাবদার (কালা মিয়া) আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-৩ শিবপুর আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে মনে করেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

কারণ তিনি হলেন শিবপুরের পরিচ্ছন্ন ও প্রবীণ একজন রাজনীতিবিদ। তার রাজনীতি জীবন শুরু করেন ১৯৬৩ সালে বিএনপির সাবেক মহাসচিব ও প্রভাবশালী মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূইয়ার সাথে। তিনি এক সময় বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ফলে সমস্ত গণতান্ত্রীক আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন।

১৯৭১ সালে আব্দুল মান্নান ভূইয়ার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন তিনি। এ সময় মান্নান ভূইয়ার পাশাপাশি রাশেদ খান মেনন, কাজী জাফর আহম্মেদ, হায়দার আকবর খান রনো, হায়দার আনোয়ার খান জুনোসহ জাতীয় পর্যায়ের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। সে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় বিভিন্ন স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন তন্মধ্যে পুটিয়া যুদ্ধ অন্যতম।

তিনি উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয় পরিষদে ১৯৭৬ সালে প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর যাবৎ সততা ও নিষ্ঠার সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে তিনি বাংলাদেশ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর দুই বার মহাসচিব ছিলেন।

তিনি ১৯৮৭ সালে মাছিমপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রাম ধানুয়ায় একাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় শহীদ আসাদের নামে শহীদ আসাদ কলেজিয়েট গার্লস হাই স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠার গড়ে তুলেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ তিনি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি এখন নরসিংদী জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। নরসিংদী জেলার স্কাউট কমিশনের দুই বার নির্বাচিত কমিশনার ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৬৯ সালে শিক্ষকতা পেশা হিসেবে বেছে নেন। সেই থেকে মানুষ গড়ার কারিগরে অবতীর্ণ হন আবুল হারিস রিকাবদার (কালা মিয়া)। তিনি সবার কাছে কালা মিয়া স্যার হিসেবে সর্বাধিক পরিচিত।

তিনি ১৯৬৮ সালে আইয়ুব শাহী বিরোধী ও কৃষক শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের হরতালে অংশ গ্রহণ করে পরে হাতিরদিয়া বাজারে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ গ্রহণ করেন। সে দিন হারতাল পালন কালে আইয়ূব শাহীর পুলিশবাহিনীর মিছিলে গুলি করে, এতে শহীদ হয় সিদ্দিক মাষ্টার হাছান আলী, মিয়া চান ও চেরাগ আলী।  আহত হয় ১৯৬৯ এর গণ অভ্যূথানের মহানায়ক আসাদুজ্জামান আসাদসহ অনেকে। সে দিন তিনি ভাগ্যক্রমে প্রাণে প্রাণে বেঁচে যান। এতসব গুণাবলির অধিকারী বিএনপির ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা আবুল হারিস রিকাবদার (কালা মিয়া) আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবপুর আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন শিবপুর উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

এ ব্যাপারে আবুল হারিস রিকাবদার কালা মিয়া বলেন, শিবপুর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। আর মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার বিএনপির হাই কমান্ডের। হাই কমান্ড যাকে মনোনয়ন দিবে উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। তবে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, আমি আমার নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বিএনপির এই আসনটি পুনোরুদ্ধার করতে পারব বলে আশাবাদী।

এখানে কমেন্ট করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *