মো: সফিকুল ইসলাম মতি, নরসিংদী: নরসিংদীতে চাঁদাবাজির মামলায় মাধবদী নুরালাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। রবিবার (১৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে আরিফকে নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (১ম) আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মারুফা আহাম্মেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এসময় আদালতে জামিনের আবেদন করেন চেয়ারম্যানের পক্ষের আইনজীবী এড. হারুন-অর-রশিদ। পরে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদী পক্ষের সিএসআই ও বিবাদি পক্ষের আইনজীবী এর যুক্তি-তর্ক শুনে চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পাঁচদোনা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মাধবদী থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী আইনাল হাজী বলেন, চেয়ারম্যান আরিফ অন্যায়ভাবে আমার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আবার ৫ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করলাম। এখন রাতে গ্রেফতার হতে না হতেই সকালে আবার জামিন হয়ে গেল। ক্ষমতা থাকলে সবই হয়। আমি সরকারের কাছে সঠিক বিচার দাবি করছি।

গ্রেফতার ও জামিন লাভের পর অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন জানান, বিরোধপূর্ণ জমিতে দেয়াল নির্মাণ করে আইনাল হাজি। এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দেয়াল নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন। বিষয়গুলো আদালতে উপস্থাপনের পর বিচারক আমার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

মাদবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, চাঁদাবাজির একটি মামলায় চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এসময় চেয়ারম্যানের পক্ষের আইজীবি আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক উভয় পক্ষের আইনজীবিদের যুক্তি-তর্ক শুনে চেয়ারম্যানের জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের আইনাল হাজি তার বাড়ির সীমানা দেয়াল নির্মাণ করছিলেন। এসময় মাধবদী নুরালাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন ৫/৬ জনকে নিয়ে দেয়াল নির্মাণে বাধা দেয়। একইসঙ্গে দেয়াল নির্মাণ করতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন চেয়ারম্যান।

পরে চাঁদা না দেয়ায় কাজ বন্ধ করে দেন তিনি। এ ঘটনায় আইনাল হাজির ভাইগ্না মফিজুর রহমান বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মাদবদী থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। চেয়ারম্যান আরিফকে প্রধান আসামী করে ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়। যাহার নং- ১(৭)২০২৩ইং। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচঁদোনা এলাকা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করে মাধবদী থানা পুলিশ। উক্ত মামলায় প্রধান আসামী আরিফকে ৫ শত টাকা বন্ডে আগামী ২৪ জুলাই ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

এখানে কমেন্ট করুন: