মা’ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি, ফেনীতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা

ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে অশ্লীল কথা বলে উক্ত্যক্ত করে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় সোমবার (১ জুলাই) প্রবাসীর স্ত্রী বাদি হয়ে কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন ও তার সহযোগী খায়েজ আহম্মদ নান্টু, মিন্টু মিয়া এবং আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে এসপির নির্দেশে ৬ জুলাই সকালে সোনাগাজী থানায় ওই বখাটেদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।

তিনি বলেন, ইমাম, নান্টু ও আবু সুফিয়ান আর্থিক সহযোগীতার কথা বলে রাতের আঁধারে আমার ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। আমাকে মোবাইলে তাদের সাথে রাত কাটানোর জন্য কুপ্রস্তাত দিয়েছে। রাজি না হওয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যারও হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় অবশেষে থানায় মামলা করেছি।

এজাহার সুত্রে জানা যায়, দুষ্ট স্বভাবের ও পরশ্রীকাতর ওই ৪ জন আসামী কাতার প্রবাসীর স্ত্রীকে বারবার কুপ্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে স্কুলে যাতায়াতের পথে তার মেয়ে (১৩) কে উত্যক্ত করে আসছে। সমাজপতিদের কাছে প্রমানসহ অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। থানায় অভিযোগ দিলে সে ও তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যার হুমকি দেয়।

স্থানীয়রা জানায়, এ ঘটনা ছাড়াও কাউন্সিলর ইমামের বিরুদ্ধে অনেক প্রবাসীর স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আছে। অনেকে লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খুলেন না।

তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর ইমাম উদ্দিন বলেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ সম্পুর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মিন্টু মিয়ার বাড়ি ভাড়ার ব্যাপারে বাদিনীর সাথে কথা হয়েছিল।

জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী বিপিএম বলেন, প্রবাসীর স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। সে অভিযোগটি এএসপি (সোনাগাজী সার্কেল) তদন্ত করেন। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে তাই সোনাগাজী থানায় মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়।এএসপি (সোনাগাজী সার্কেল) সাইকুল ইসলাম ভুঞা অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এখানে কমেন্ট করুন: