মো. হৃদয় খান: নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে। রেল স্টেশনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সুইপার পর্যন্ত নানা রকম দূর্নীতি ও অপকর্মে জড়িয়ে আছে। এতে দিন দিন যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে।
নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনটি ‘এ’ গ্রেডের স্টেশন হলেও যাত্রী সেবার মান নিম্ন। বসার নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।
সেবার মানোন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেই বরং প্লাটফরম রয়েছে হকারদের দখলে। গরমকালে যাত্রীদের জন্য বৈদ্যুতিক পাখার ব্যাবস্থা থাকলেও এ সুবিধা যাত্রীরা ভোগ করতে পারে না। কারণ অধিকাংশ পাখার নীচেই হকারদের পসরা।
যাত্রীদের জন্য হাত – মুখ ধোয়া ও খাবার পানির ব্যাবস্থা থাকলেও তা বহুদিন যাবত অচল। সার্বিকভাবে যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহালেও বলা চলে পুরো প্লাটফরম রয়েছে হকারদের দখলে। হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করছে একটি চক্র।
রেলওয়ের বিদ্যুৎ চুরি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আরেকটি চক্র। প্লাটফর্ম ও আশেপাশের দোকানে, রেল কোয়ার্টারে অবৈধ বসবাসকারী ও রেলওয়ের জমি লিজ নিয়ে নির্মিত বাড়ী ও দোকানে চোরাই সংযোগ দিয়েছে চক্রটি। প্রায় ৪০ টি অবৈধ সংযোগের আগে সংযোগ প্রতি ১ থেকে ২ হাজার টাকা এবং মাস শেষে ৩ শত থেকে ১ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। মাস শেষে সরকারি খাতে পরিশোধ হয় এই বিদ্যুৎ বিল। একটি সূত্র জানায় রেলওয়ের বিদ্যুৎ চুরির মুল হোতা স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান।
টিকিট কাটতে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই। মাঝে মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে রেল কর্তৃপক্ষের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শনে আসার সংবাদ পেলে তড়িঘড়ি করে প্লাটফর্ম হকারমুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, চোরাই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সাধু হয়ে যায় সবাই। বড় বাবুরা পরিদর্শন করে চলে যাওয়ার পরপরই আবারো যে লাউ সে -ই কদু হয়ে যায়। নরসিংদী রেল স্টেশনের বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করে সরকারী অর্থ অপচয় রোধে ও যাত্রী ভোগান্তি দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন যাত্রীসাধারণ।