স্টাফ রিপোটার:নরসিংদীর মনোহরদী কোচেরচর মুকসুদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এস. এস. সির ছাত্রীর ছবি মুঠোফোনে তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে মনোহরদী উপজেলা কোচেরচর গ্রামের মনু মেম্বারের পুত্র বখাটে সৈকত(২৩)ঐ ছাত্রীকে তার স্ত্রী পরিচয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে অশোভন মন্তব্য করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর জেঠা আনোয়ার হোসেন গত ৭ জুলাই মনোহরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়টি জানতে পারলে বখাটে ও তার পিতার অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পরে ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। পরে এ বিষয়ে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও)কে অবগত করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার জন্য মনোহরদী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করে। তবে ওই বখাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আতঙ্কে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার। মেম্বার ও তার বখাটে ছেলের ভয়ে ঐ ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ীর বাহিরে চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানায় ছাত্রীর বাবা বিদেশ প্রবাসি বর্তমানে দুবাইতে আছে।
গত ১ বছর যাবৎ মনু মেম্বারের পুত্র বখাটে সৈয়কত ঐ ছাত্রীকে উত্তাক্ত করে আসছে। গত ২৬ জানুয়ারী মুকসুদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে যায় ঐ ছাত্রী এবং বান্ধুবী সহিত মোবাইল ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি উঠায়। উক্ত বখাটে সৈয়কত তখন সু- কৌশলে ঐ ছাত্রীর ছবি তুলে পরে এই বলে হুমকি প্রধান করে যে তার কথায় রাজি না হলে ঐ ছাত্রীর ছবি তার ছবির সাথে এডকরে বখাটের স্ত্রী লিখে সামাজিক ভাবে হেয় করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে উক্ত ছবি বখাটের ফেইজবুকে পোষ্ট করে সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল করে, পরে ছাত্রীর পরিবার জানিতে পারিয়া বখাটের বাড়ীতে যাইয়া প্রতিবাদ করায় বখাটে ও তার বাবা ঐ ছাত্রী ও তার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকি প্রধান করে।
পরে এই ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানাইয়া ঐ ছাত্রীর জেঠা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর বখাটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।যার ফলে আতঙ্কে ওই ছাত্রী ও তার পরিবার বাড়ীর বাহিরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে মেয়ের ও তার পরিবারের লোকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ইউএনওর কাছে জানিয়েছেন তারা। বখাটেকে না পেয়ে তার পিতা মনু মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে মোবাইলে জানায়, আমি বর্তমান মেম্বার আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারবেনা। মামলা করলে ও লিখলে আমার ও আমার ছেলের সু নাম বারবে।
মনোহরদী উপজেলার ইউএনও শাফিয়া আক্তার শিমু কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দু:খ জনক। তাই অভিযোগটি থানায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। মনোহরদী থানার ওসি তদন্তরর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি নতুন যোগদান করেছি বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিব।