প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি.এম তালেব হোসেন
——-
গত ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে ৮ এর পৃষ্ঠায় ‘নরসিংদীতে বিএনপি নেতারা এখন আ.লীগে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জি.এম তালেব হোসেন।
তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও কাল্পনিক। সাংবাদের একাংশে আমাকে তৎকালীন নরসিংদী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত থানা বিএনপির সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছি বলে উল্লেখ করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, কাল্পনিক এবং প্রতিবেদকের মনগড়া। একটি স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। আমি এই মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আমি ছাত্রজীবনে ১৯৬৫ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পন করি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে (নরসিংদী ও আড়াইহাজার থানায়) দ্বায়িত্ব পালন করি।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদে (বাংলা বিভাগ) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই।
এরপর ঢাকা জেলা পূর্বাঞ্চলীয় ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করি।
যুবলীগের প্রতিষ্ঠালগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি কতৃক অনুমোদিত নরসিংদী সদর থানা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করি।
এরপর নরসিংদী সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করি।
জননেতা মরহুম মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়ার নির্দেশে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক জনসভায় নরসিংদী থেকে লোকজন নিয়ে যোগদানের জন্য কঠোর পরিশ্রম করি ও মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে বিশাল মিছিলসহ যোগদান করি।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক গঠিত ও মনোনীত বাকশাল (নরসিংদী ও নারায়নগঞ্জ) জেলায় যুগ্ন সম্পাদকের দ্বায়িত্বলাভ করি।
১৯৭৭ সালে শিলমান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।
খালেদা-নিজামী জোট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করি এবং কর্মীদের সাহায্য ও আহত কর্মীদের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা রাখি।
সেই ছাত্রজীবনে থেকে শুরু করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের মূলধারার রাজনীতি করে আসছি।
এমনকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি।
আমার আপন বড় ভাই মরহুম আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আমাদের নিজ বাড়িতে (গনের গাও গ্রামে) মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, খাবারের ব্যবস্থা ও অর্থ সংগ্রহে সহযোগিতা করেছেন এবং ঐ সময় তিনি আওয়ামী লীগের একটি ইউনিটের সহ-সভাপতি ছিলেন।
আমার আরেক আপন বড় ভাই আব্দুল মতিন এম.এ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারতে ট্রেনিং প্রাপ্ত। তিনি বর্তমানে সুইডেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা।